Uncategorized
পুত্র সন্তানের আকাঙ্কায় ভন্ড পীর বাবার নৃশংসতার শিকার মহিলা!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তিন কন্যা সন্তানের জননী এক মহিলা। চতুর্থবার অন্তঃসত্ত্বা হলে তাঁর স্বামী তাঁকে হুমকি দেন, এবার পুত্র সন্তান না হলে তাঁকে ছেড়ে দেবেন। এই কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই ভীত মহিলা ছোটেন এক পীর বাবার কাছে। যদি পীর বাবার দয়ায় তাঁর কোলে পুত্র সন্তান আসে তাহলে তাঁর স্বামী আর তাঁকে ছেড়ে দেবেন না।
এই আশাতেই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন এক পীর বাবার কাছে। কিন্তু তারপর যা হল, তা শুনে সবাই হতবাক! সমাজে নারীদের অবস্থা আজও বড়ই খারাপ। এখনও তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই অসহায়। আমরা সবাই জানি যে সন্তানের লিঙ্গ কী হবে, তা কখনওই মায়ের ওপর নির্ভর করে না। তাও বারবার পুত্র সন্তান না হওয়ার কারণে নারীদের ওপরই দোষ দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার। অনেক মহিলাই এই চাপ নিতে পারেন না। তখন এমন কিছু করে বসেন, যাতে তাঁদের জীবন হয় বিপন্ন। সবার মানসিক অবস্থা সমান হয় না। তাই এক-একজন এক এক ভাবে নিজের মানসিক চাপকে লঘু করতে সচেষ্ট হন। সেইরকমই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন এলাকার এক মহিলা।
তিন মেয়ের পর যদি আবার মেয়ে হয় তাহলে তাঁর আর স্বামী-সংসা থাকবে না। এই কথা জানার পর তিনি ছুটে যান এক পীর বাবার কাছে। নিজের সমস্যার কথা জানিয়ে তাঁর কাছে থেকে সাহায্য চান। তিনি এমন কিছু যেন বলেন, যাতে তাঁর আগত সন্তান পুত্রই হয়। একথা জানার পর সেই পীরবাবা বিধান দেন, সেই মহিলা যেন তাঁর আঙুলের নখ উপরে নিজের কপালে পুঁতে দেন! এই শুনে, সেই অসহায় মহিলা বাড়ি ফিরে পীর বাবার কথা মতো নিজের নখ উপরে কপালে হাতুড়ি দিয়ে পুঁতে দেন। কিন্তু এটি করার পর ওই মহিলা যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনাটি গত সপ্তাহে ঘটলেও প্রকাশ্যে আসে গত মঙ্গলবার। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পেশওয়ারের পুলিশ ডিআইজি নিজের মতামত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁরা দ্রুত ওই ভন্ড পীরবাবার হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই ঘটনাটি ঘটার এতদিন পর কেন তা সামনে এল, সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।