খেলা-ধূলা
খিদে মেটানোর জন্য খাবার চেয়ে বেড়াতে হতো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে! পরবর্তীতে তার সাথে কি ব্যবহার হয়েছিল জানেন?
পরবর্তীতে রোনাল্ডো যখন সফল হয়েছেন তখন তিনি সেই মহিলাকে অনেক খুঁজেছিলেন কিন্তু তাকে পাননি। এমনকি পরবর্তীতে পর্তুগালের সেই

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কে চেনেন না এমন কেউ নেই। পর্তুগালের এই যুবক ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে বেশ সাফল্য কামিয়েছে। কিন্তু এই জায়গায় পৌঁছানোর জন্য তার জীবনে তাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ছিল একজন খুবই গরীব পরিবারের সন্তান। তারা ঠিক মতো করে খাওয়ার অব্দি খেতে পারত না।
অনেক সময় না খেয়ে রাত দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। কিন্তু কখনো কখনো রোনাল্ডো তার বাড়ির পাশে স্টেডিয়ামের সাইডে একটি ম্যাকডোনাল্ড এর শাখা ছিল সেখানে গিয়ে পিছন দরজা দিয়ে ডাক দিত সেখানকার কর্মচারীদের। ডাক দেওয়ার পর বলতো যে তাদের কাছে কি কোন বার্গার পড়ে আছে যা দিয়ে তার খিদা মেটানো যায়। তখন ওইখানে কাজ করতো অ্যাডনা নামের এক মহিলা কর্মচারী। সে সবসময় রোনালদোকে বার্গার দিয়ে দিত। পরবর্তীতে রোনাল্ডো যখন সফল হয়েছেন তখন তিনি সেই মহিলাকে অনেক খুঁজেছিলেন কিন্তু তাকে পাননি। এমনকি পরবর্তীতে পর্তুগালের সেই ম্যাকডোনাল্ডের শাখাটিও বন্ধ হয়ে যায়।
তবুও রোনাল্ডো সেই মহিলাকে খোঁজা বাদ দেননি। গত বছর একটি ইন্টারভিউতে রোনাল্ডো জানান তার এই দুঃখজনক কাহিনী এবং বলেন যদি এই প্রতিবেদন তার কাছে গিয়ে পৌঁছায় তাহলে সে যেন অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দেন। আর এই প্রতিবেদন ভাইরাল হয়েছিল অনেক। হওয়ার কারণে এই সংবাদটি অ্যাডনার কাছে গিয়ে পৌঁছায়। পরবর্তীতে একটি রেডিও শো এর মাধ্যমে না জানার যে তিনি সেই মেঘ ডোনাল্ডের মহিলা কর্মচারী অ্যাডনা। তিনি রোনাল্ডোকে বার্গার এনে দিতেন খাওয়ার জন্য। তিনি আরো বলেন যে, এই কাহিনী তিনি তার সন্তানদেরকে অনেকবার শুনিয়েছেন কিন্তু তার সন্তানরা কখনো বিশ্বাস করেননি কারণ ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো একজন সফল ফুটবল প্লেয়ার।
আরও পড়ুন-খাবার দিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন, ২৪ বছর বয়সি ভারতের এক যুবক।
তাকে কিনা বার্গার এনে খাওয়াতো তাদের মা যে কিনা সামান্য একজন কর্মচারী ছিলেন। তবে এই কাহিনী যখন রোনাল্ডো জানতে পারে যে সে তার হারানো অ্যাডনাকে খুঁজে পেয়েছে তখন তিনি তার সঙ্গে দেখা করার এবং তিনি তাকে সব থেকে বড় একটি রেস্টুরেন্ট উপহার দেন এবং পাশাপাশি আরো অনেক কিছু উপহার দেন। আমরা সাধারণত দেখেছি যে সফল হওয়ার পর অতীতকে স্বাভাবিকভাবে সবাই ভুলে যায় কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সে ভোলেননি। মনে রেখে দিয়েছেন তার কষ্টের জীবন যাপনের দিনগুলো। আর এইসব কারণেই হয়তো সে এতটা সাফল্য লাভ করতে পেরেছে।