Uncategorized
ভারতের জাতীয় সাঙ্গিত ঠিক পরছেন তো? সঠিক পরলেও কতখানি পড়ছেন?
বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ আমরা ছোট থেকেই ভারতের জাতীয় সংগীত হিসেবে জন গন মন গেয়ে আসছি। বিদ্যালয়ের প্রেয়ার লাইন হোক কিংবা খেলার মাঠ সব জায়গাতেই আমরা কাজ শুরু করার আগেই এই সংগীত গেয়ে থাকি আর ভারত মাতাকে প্রণাম করে থাকি। তবে আপনি কি জানেন সম্পূর্ণ জাতিয় সংগীত সম্বন্ধে। জনগণমন অধিনায়ক জয় হে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বা রাষ্ট্রগান। এই গানটি বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত স্বীকৃতি লাভ করে।
জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। এই গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম লিখেছিলেন। এবং সর্বপ্রথম ৭ ডিসেম্বর, ১৯১১ তারিখে কলকাতায় আয়োজিত ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬তম বার্ষিক অধিবেশনে গানটি গাওয়া হয়েছিল সমবেতকণ্ঠে। স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ঘোষিত হওয়ার পর জনগণমন-কে ঘিরে কিছু বিতর্ক দানা বাঁধে।
প্রকৃতপক্ষে গানটি লেখা হয়েছিল ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে রাজা পঞ্চম জর্জের দিল্লি দরবারের কিছুদিন আগে। আমাদের জাতিয় সঙ্গিতের মোট পাঁচটা স্তবক রয়েছে, তার মধ্যে আমরা শুধু একটা স্তবকই গেয়ে থাকি। কবির সঞ্চয়িতা কাব্য সংকলনে এই গানের কথা ‘ভারত বিধাতা’ শিরোনামে মুদ্রিত। তবে আজ আমরা জানব সেই পাঁচটা স্তবকে কি লেখা আছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের বিশ্বকবি রবিন্দ্রানাথ ঠাকুরের লেখা সেই অমূল্য সংগীত।
১. জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা, দ্রাবিড় উত্কল বঙ্গ,
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা, উচ্ছলজলধিতরঙ্গ,
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিস মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে।।
২. অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী,
পূরব পশ্চিম আসে, তব সিংহাসন-পাশে
প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে।।
৩. পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ-যুগ ধাবিত যাত্রী
হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি,
দারুণ বিপ্লব-মাঝে, তব শঙ্খধ্বনি বাজে,
সঙ্কটদুঃখত্রাতা।
জনগণ-পথ-পরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
৪. ঘোরতিমিরঘন নিবিড় নিশীথে পীড়িত মূর্ছিত দেশে
জাগ্রত ছিল তব অবিচল মঙ্গল নতনয়নে অনিমেষে,
দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে, রক্ষা করিলে অঙ্কে,
স্নেহময়ী তুমি মাতা।
জনগণদুঃখত্রায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।
৫. রাত্রি প্রভাতিল, উদিল রবিচ্ছবি পূর্ব-উদয়গিরিভালে
গাহে বিহঙ্গম, পুণ্য সমীরণ, নবজীবনরস ঢালে,
তব করুণারুণরাগে, নিদ্রিত ভারত জাগে,
তব চরণে নত মাথা।
জয় জয় জয় হে, জয় রাজেশ্বর ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।