দেশের খবর
প্রার্থী দ্রোপদীকে জেড প্লাস নিরাপত্তা কেন্দ্রের, জানুন সাঁওতাল কন্যার অজানা তথ্য
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাইসিনা হিলের উত্তরসূরীদের দৌড়ের লড়াইয়ে যাবতীয় জল্পনায় সত্যি হল। মঙ্গলবার রাতে ঘোষিত হল NDA-দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের সাঁওতাল কন্যা তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রোপদী মুর্মুকে (৬৪) এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে।
২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন যুযুধান হতে চলেছে দুই শিবিরের কাছেই। তৃণমূলের বাছাই করা প্রার্থী যশবন্ত সিনহার উপর আস্থা রেখেছেন বিরোধীরা। তেমনই সাঁওতাল মহিলা প্রাক্তন রাজ্যপালকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে তুরুপের তাস হিসেবে খেলতে চাইছে BJP। শুধু তাই নয়, বিজেপি সরকারের তরফে দ্রোপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতেই তাঁর জন্য এবার ‘Z+’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে, জেড+ নিরাপত্তা হল কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিতীয় সর্বাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যা সাধারণত পেয়ে থাকেন কেন্দ্রের পদস্থ আধিকারিকরা। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের ৬৪ বছর বয়সী এই সাঁওতাল কন্যা অকালে হারিয়েছেন তাঁর স্বামী সহ দুই সন্তানকে। রাজনীতিতে প্রবেশ সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে।
আরও পড়ুন: BJP শাসিত অসমে একনাথ শিন্ডে, টলমলে রাজ্যপাট সামলাতে বৈঠক ডাকলেন উদ্ধব ঠাকরে
দ্রোপদী মুর্মু রাজনৈতিক অধ্যায়ে পা রাখার প্রথম পর্বে ১৯৯৭ সালে Rairangpur Nagar Panchayat-এর কাউন্সিলর ছিলেন। এরপর ২০০০ সালে ওড়িশা সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হন তিনি। তিনি রায়রাংপুরের দুই বারের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন।
আরও পড়ুন: Big Breaking বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু
দ্রৌপদী মুর্মু ২০০৯ সালে তার বিধানসভা আসনটি ধরে রেখেছিলেন যখন বিজেডি রাজ্য নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে বিজেপির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। যা মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক দ্বারা পরাজিত হয়েছিল। দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হওয়ার সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।