দেশের খবর
যেখানে প্রাথমিক শিক্ষা স্বপ্ন! সেখান থেকে রাইসিনা হিলের বাসিন্দা, শপথ নিয়ে শৈশবে ভাসলেন দ্রৌপদী

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আগামী ৫ বছরের জন্য রাইসিনা হিলের বাসিন্দা হলেন দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার সকালে গান-স্যালুটের মধ্য দিয়ে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সোমবার সকাল ১০.১৫-এ সংসদের কেন্দ্রীয় হলে অনুষ্ঠিত হয় এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। যেখানে ভারতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এদিকে দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই ২১ বন্দুকের স্যালুটের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভাষণ দেন দ্রৌপদী মুর্মু। আদ্যপান্ত সরল সাদাসিধে এদিন রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর একই ভঙ্গিমায় জনসমক্ষে ধরা দিলেন, দেশের নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার শপথ নেওয়ার পর কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।
স্বামী-সন্তান হারিয়ে জীবনযুদ্ধে লড়তে লড়তে আজ দেশের সর্বোচ্চ নাগরিকত্ব পেয়ে কার্যত ঘোরের মধ্যেই ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। আবেগের বিস্ময় কাটিয়ে এদিন তিনি জানান, তিনি ওড়িশার একটি ছোট আদিবাসী গ্রাম থেকে তার জীবনের প্রথম যাত্রা শুরু করেছিলেন। তিনি যে গ্রামে থেকে উঠে এসেছেন সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করাই স্বপ্নের মতো! তবুও থেমে থাকেননি তিনি। জীবনের নানা চড়াই উতরাই পার করে জীবনযুদ্ধে আজ সফল তিনি।
আরও পড়ুন: এক্সপ্রেসওয়েতে বেপরোয়া গতির বলি, বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত ৮
তিনি আরও জানান, জীবনে নানা ঝড়ঝাপটা আসলেও কখনও থেমে থাকেননি তিনি। দ্রৌপদী মুর্মু হলেন গ্রামের মধ্যে প্রথম মহিলা যিনি কলেজে গিয়েছিলেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার প্রথম ভাষণে, দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ”শীর্ষ সাংবিধানিক পদে তাঁর নির্বাচন প্রমাণ করে যে ভারতে দরিদ্ররা কেবল স্বপ্নই নয়, সেই আকাঙ্খাগুলিও পূরণ করতে পারে”।
আরও পড়ুন: অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমলেও, বাড়ল করোনায় মৃতের সংখ্যা
দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার বাইদাপোসি গ্রামের সাঁওতাল সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে রায়রাংপুর নগর পঞ্চায়েতের কাউন্সিলর হিসাবে তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০০ সালে ওড়িশা সরকারের মন্ত্রী হওয়ার জন্য পদমর্যাদার মাধ্যমে উঠে আসেন এবং পরে ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হন।