দেশের খবর
এখনও ট্যাবের টাকা না পাওয়ায় কাঠগড়ায় প্রধান শিক্ষক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অনেকদিন ধরেই স্কুল-কলেজ বন্ধ। স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে অনলাইন ক্লাস চলছে। রাজ্য সরকার অনলাইন ক্লাসের কথা মাথায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এখনও ট্যাব কেনার টাকা না পাওয়ায় অভিযোগ উঠল।
স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় নভেম্বর মাসেও ট্যাব কেনার টাকা পেল না ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেবাগ্রাম হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মিনাজুর রহমান। ট্যাবের টাকা না পাওয়ার জন্য মিনাজুর কাঠগড়ায় তুলেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল কুদ্দুসকে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শককে লিখিত অভিযোগ করেছে মিনাজুর রহমান। লিখিত অভিযোগে মিনাজুর ডিআই কে জানিয়েছে, বিদ্যালয়ের ভর্তি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীরা।মিনাজুরের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস তাঁকে ছাত্র-ছাত্রীদের নামের তালিকা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাঠানোর সময় তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল পাঠায়।
সে আরও জানায়, ‘বারবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ট্যাবের টাকার জন্য বলা হলেও তিনি কোনও গুরুত্ব দেননি। সেপ্টেম্বর মাসেই সহপাঠীরা ট্যাব কেনার টাকা পেলেও আমি কোনও টাকা পাইনি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের টালবাহানার কারণে ও পড়া-লেখার সময় পেরিয়ে যাওয়ার জন্যই শেষমেশ জেলা শিক্ষা দফতর প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেছেন, ‘মিনাজুরের নেতৃত্বে একাদশ শ্রেণিতে ভির্তির সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বহিরাগত ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা ভর্তি ফি নেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছিল।
সে কারণেই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের নামের তালিকা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর পাঠানোর সময় অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল পাঠিয়েছেন। সেই কারণেই মিনাজুর ট্যাব কেনার টাকা পায়নি।’ শেবাগ্রাম হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, ‘ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল থাকার কারণে বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রের টাকা ওদের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। একমাস আগেই আমি পুণরায় অ্যাকাউন্ট নম্বর জমা দিয়েছি ডিআই অফিসে। তারপরে কেন টাকা পায়নি বলতে পারব না।’ ডিআই জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’