আন্তর্জাতিক
অন্ধকারে ডুবে দেশ, দ্বিতীয়বার জরুরি অবস্থা জারি করল শ্রীলঙ্কা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ঋণের দায়ে জর্জরিত গোটাদেশ। বৈদেশিক ঋণ মেটাতে ব্যর্থ। যার জেরে অনেকদিন আগেই নিজেকে সম্পূর্ন দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা।
দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে মাত্র পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফের জরুরি অবস্থা জারি করল রাজাপাকসে সরকার। নেই খাবার। এক টুকরো শুকনো রুটিও বারন্ত। দিনে ১৩/১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকলেও পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। পরিস্থিতি খারাপ এই দেশের তথাকথিত বণিক শ্রেণির মানুষদেরও।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কা শুধু অর্থনৈতিক সংকটই নয়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। সম্প্রতি বিরোধী দলগুলো প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে তাঁর পক্ষে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হামলার ছক ভেস্তে দিল পুলিশ, জালে ৪ খলিস্তানী জঙ্গি
এদিন শুক্রবার দেশজুড়ে ট্রেড ইউনিয়ন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এবং শ্রীলঙ্কায় বেড়ে চলা অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষিতে রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছে। তারপরই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে ফের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
প্রায় ২.২ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কায় গত কয়েক মাস ধরেই চূড়ান্ত অরাজক অবস্থা চলছে। খাবার, ওষুধ, জ্বালানির অপ্রতুলতায় ভুগছে গোটা দেশ। যার ফলে দেশের সব প্রান্তে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর থেকে এটাই শ্রীলঙ্কায় হওয়া সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পথে ঘাটে নেমে আমজনতা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এদিন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা বন্ধে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: জামশেদপুর টাটা স্টিল প্ল্যান্টে বিধ্বংসী আগুন, জখম ৩
বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। শিল্প শ্রমিকরা কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এবং দেশজুড়ে গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারকে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের স্পষ্ট কথা, গুনে গুনে বলে দেওয়া যেতে পারে কোথায় কোথায় নীতি নির্ধারণে রাজাপক্ষে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এবং যার ফলে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরে কলেজে আসায় দেওয়া হল না ওষুধ, বিতর্কে যোগীরাজ্য
এদিকে শতবিরোধ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে সাফ জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই পদত্যাগ করবেন না। এই অবস্থায় আগামীদিনে শ্রীলঙ্কার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই এখন দেখার।