বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম কোনটি জানেন? এক কিলো আম ৩.৫ লক্ষ টাকা! জানুন বিস্তারিত
Connect with us

আন্তর্জাতিক

বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম কোনটি জানেন? এক কিলো আম ৩.৫ লক্ষ টাকা! জানুন বিস্তারিত

Dwip Narayan Chakraborty

Published

on

5/5 - (1 vote)

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: আপনি কি জানেন বিশ্বের সবথেকে দামি আম কোনটা? আমাদের এই বিশ্বে 13 হাজারের ও বেশি প্রজাতির আম রয়েছে। তবে সবথেকে দামি আম হল মিয়াজাকি। আপনি কি জানেন এই আমের কি কি উপকারিতা রয়েছে কেনই বা এত দাম এই আমের! সবটা জানাবো আজকে। 

মিয়াযাকি আম জাপানের মিয়াযাকি শহরে উৎপন্ন হয় বলে এর নাম মিয়াযাকি। এছাড়াও এই আমকে এগ অফ সান অর্থাৎ সূর্যের ডিম বলেও চিহ্নিত করা হয়। কারনে আমি এর রং এবং আঁকার অনেকের ডিমের মতো তাই একে এগ অফ সান বলা হয়ে থাকে। এই আমের মূল উৎপন্ন জাপান হলেও ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশেও এই আম চাষ করা হচ্ছে। এই আমের দাম বেশি হওয়ার কারণ আমের চাষ করার ধরন। মিয়াযাকি আম চাষ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয় কৃষককে। তবে সব কৃষকরায় কিন্তু আমের মূল্য দাম পেয়ে থাকেন না।

আরও পড়ুন-Ai চ্যাঁটবোট কে বিয়ে করলেন আমেরিকার এক মহিলা

Advertisement

 

জাপানে যত মিয়াযাকি আম উৎপন্ন হয় তার মধ্যে  মিয়াযাকে শহরের উৎপন্ন আমের ১০% আম নিলামে বিক্রি হয় ১ কেজি আম যার মূল্য দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার ডলার অব্দি ওঠে। বাকি আমগুলো নরমাল ফলের দোকানে বিক্রি হয়। এখানে এক পিস আমের দাম 50 ডলার অর্থাৎ প্রায় ৫০০০ টাকা। তবে নিলামে উঠবার জন্য আমের মধ্যে থাকা দরকার কয়েকটি গুণ যার মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমের ওজন। মিনিমাম ৩৫০ গ্রাম থেকে ম্যাক্সিমাম 900 গ্রামের মধ্যে হতে হবে সেই আমকে না হলে নিলামে তোলা হবে না। ছাড়া এই আম গ্রিনহাউসে মাধ্যমে বড় করা হয়ে থাকে। সূর্যের আলো এই আমের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাতাসে কোন আদ্রতা থাকা যাবে না।

 

Advertisement

পরহর সময় আমের গায়ে নেট বেঁধে দেওয়া হয় কারণ যাতে আমের গায়ে সমান পরিমাণে সূর্যের আলো পড়ে। এছাড়াও এই আম যত গাছে থাকবে তত বড় হবে সেই কারণেও নেট বাধা হয়। এছাড়াও আম বড় করার আরেকটি অন্যতম পথ রয়েছে, এখানে মৌমাছির দ্বারা আম গুলোকে বড় করা হয়। মৌমাছির পরাগায়ন পরাগায়নের দাঁড়ায় আম গুলো সাইজে বড় হয়ে ওঠে। যদি কোন আমে পরাগায়ন না হয়ে থাকে তাহলে সেই আমগুলো সাইজে অনেক ছোট হয়ে যায়।

 

আর যাই যে ছোট হয়ে গেলে নিলামিতে তোলা হয় না সেই আমকে। আর এই আম বছরে একবারই উৎপন্ন হয় এপ্রিল থেকে অগাস্ট এর সময়। এই আম খেতে অনেক মিষ্টি কারণ অন্যান্য আমের চেয়ে এই আমের মধ্যে ১৫ শতাংশ বেশি সুগার রয়েছে, যে কারণে আম এতটা মিষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়াও এই আমের মধ্যে কোন ধরনের আঁশ থাকে না। আরাম মুখে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলির মত গলে যায়, এই আমের খোসাসহ খাওয়া যায়। এই আমে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন রয়েছে এছাড়াও চোখের জ্যোতি বাড়ানোর জন্য এই আম অনেক অনেক উপকারী। 

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.