দেশের খবর
জাতীয় সড়কে টোল প্লাজায় দিতে হচ্ছে দ্বিগুন ট্যাক্স, ক্ষুদ্ধ যানবাহন মালিকরা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত থাকলেও জাতীয় সড়কে টোল প্লাজায় দিতে হচ্ছে দ্বিগুন টোল ট্যাক্স। ক্ষুদ্ধ উত্তর দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা থেকে যানবাহন মালিকেরা। অবিলম্বে টোল ট্যাক্স না কমালে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে উত্তর দিনাজপুর বাস, মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
আর এই নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে জোর তরজা। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে লুট করার রাজনীতি করছে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার। উল্টোদিকে, জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি সরকারই মানুষের সুবিধার্থে সড়কপথে বিপ্লব এনেছে। বিরোধীতার জন্যই রাজনৈতিক চক্রান্ত করছে অন্যান্য দলের নেতারা। তবে রাজনৈতিক চাপানউতোর যাই থাক না কেন, আদতে উত্তর দিনাজপুর জেলার বাস, মিনিবাস মালিক থেকে প্রাইভেট গাড়ির মালিকেরা যে দ্বিগুন পরিমাণে টোল ট্যাক্স দিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, এটা বলাই বাহুল্য। কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহন নিগমের নির্দেশ অনুযায়ী একই জেলার রেজিস্ট্রেশন করা বাস বা অন্যান্য যানবাহন ওই জেলায় থাকা টোল প্লাজায় অর্ধেক টোল ট্যাক্স দিলেই পারাপার করতে পারবে। কিন্তু অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুর জেলার রেজিস্ট্রেশন করা যানবাহনসমূহকে জেলার সূর্যাপুরে থাকা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টোল প্লাজা পার করে যেতে হলে দ্বিগুন টাকা টোল ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন নিগমের নির্দেশ অনুযায়ী যেখানে প্রতিটি বাসের ১৩০ টাকা করে টোল প্লাজায় টোল ট্যাক্স দেওয়ার কথা, সেখানে তাঁদের দিতে হচ্ছে ২৬০ টাকা।
উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে প্রতিদিন ৩৮টি বাস সূর্যাপুর টোল প্লাজা পেড়িয়ে দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে যাতায়াত করে। ফলে, প্রতিদিনই বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার বাস মালিকেরা। উত্তর দিনাজপুর জেলা বাস, মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্লাবন প্রামাণিক জানিয়েছেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টোল প্লাজাগুলোতে জানিয়েছি। কিন্তু তবুও তারা দ্বিগুন হারে টোল ট্যাক্স আদায় করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। অবিলম্বে এই টোল ট্যাক্স না কমানো হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে জেলার বাস মালিক সংগঠন।’ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরিন্দম সরকার জানিয়েছেন, ‘প্রতিটা ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে লুট করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। আর সেজন্যই মানুষ আজ বিজেপিইকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে।’ জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকারের যুক্তি, ‘বিরোধীতা করার জন্যই কিছু মানুষ রাজনৈতিক চক্রান্ত করছেন। জেলার টোল প্লাজায় জেলার রেজিস্ট্রেশন করা বাস মালিকদের আধার কার্ড ও গাড়ির আরসি বুক জমা দিতে হবে। তাহলেই তারা কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তঃজেলা টোল ট্যাক্সের আওতায় পড়বেন।’