রাজনীতি
রাজ্যপাল নিজেই বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করান: বিমান বন্দোপাধ্যায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাবুল সুপ্রিয়র শপথ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত অব্যাহত। রাজ্যপাল নিজেই বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করান। সোমবার বিধানসভায় এই মন্তব্য করলেন স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাদ দিয়ে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজ্যপালের সেই নির্দেশ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে ছিলেন আশীষ বন্দোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে শপথ অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না। এর মধ্যেই স্পিকারের এ দিনের মন্তব্যে বাবুলের শপথ জট আরও বাড়িয়ে দিল। বালিগঞ্জের বিধায়ক কবে শপথ নেবেন, তার উত্তর রাজ্যপালই দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
উল্লেখ্য, বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ নিয়ে এখনও কাটল না জটিলতা। বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে তিনি কবে শপথ নেবেন তার উত্তর জানা নেই খোদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার অনুমোদন রাজ্যপাল এখনও না দেওয়ার কারণেই এই নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি।
উল্টে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান মেনে চলুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।’ বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল বিধানসভার সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে বিধানসভা সংক্রান্ত এমনকিছু নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন, যা বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: অশনি-শঙ্কায় জেলা সফরসূচি বদল মুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে যে প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করানো হয়েছিল এবং বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার মধ্যে হাতাহাতি ও বচসায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: শপথ নিয়ে বাবুল আমাকে চিঠি দিলে ভেবে দেখব, জানালেন স্পিকার
গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁর শপথ গ্রহণের এখনও অনুমোদন না দেওয়ায় বিধায়কের কোনও কাজই করতে পারছেন না বাবুল। ফলে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত সরকারি কাজ থমকে রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারন মানুষ।