শপথ নিয়ে বাবুল আমাকে চিঠি দিলে ভেবে দেখব, জানালেন স্পিকার
Connect with us

বাংলার খবর

শপথ নিয়ে বাবুল আমাকে চিঠি দিলে ভেবে দেখব, জানালেন স্পিকার

Rate this post

রাজীব দত্ত: বাবুল সুপ্রিয়র শপথগ্রহণ নিয়ে এখনও কাটল না জটিলতা। বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে তিনি কবে শপথ নেবেন তার উত্তর জানা নেই খোদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করার অনুমোদন রাজ্যপাল এখনও না দেওয়ার কারণেই এই নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। উল্টে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধান মেনে চলুন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।’ বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল বিধানসভার সচিবালয়ে চিঠি দিয়ে বিধানসভা সংক্রান্ত এমনকিছু নথিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন, যা বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে দেওয়া সম্ভব নয়। জানা গিয়েছে, বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধির কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে যে প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ করানো হয়েছিল এবং বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার মধ্যে হাতাহাতি ও বচসায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে বিজেপি বিধায়কদের সাসপেন্ড করা সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল।

গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু রাজ্যপাল তাঁর শপথ গ্রহণের এখনও অনুমোদন না দেওয়ায় বিধায়কের কোনও কাজই করতে পারছেন না বাবুল। ফলে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত সরকারি কাজ থমকে রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারন মানুষ। তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাবুল সুপ্রিয় যদি তাঁর কাছে শপথ গ্রহণের বিষয় নিয়ে আবেদন করেন তাহলে তিনি বিষয়টি ভেবে দেখবেন। সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়েই নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। কিন্তু বাবুলের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এখনও অনুমোদন না দেওয়ায় শপথ গ্রহণ আটকে রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে স্পিকারেরও কিছু করার নেই।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে জাতি বৈষম্যমূলক মন্তব্যের জের, অধ্যাপককে বরখাস্ত করল বিশ্বভারতী

Advertisement

অথচ, এই বাবুল সুপ্রিয়কেই উদ্ধার করতে একসময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে গিয়েছিলেন এই রাজ্যপালই। বাবুল সুপ্রিয় তখন বিজেপির টিকিটে আসানসোল থেকে জিতে কেন্দ্রের মন্ত্রী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল। দীর্ঘক্ষন তাঁকে ঘেরাও করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীরা। পুলিশ-প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে রাজভবন থেকে যাদবপুরে ছুটে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। মাঝে অনেকটা সময় কেটেছে।

আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে গরমের ছুটি প্রত্যাহার করতে বলে রাজ্য ভাগের দাবি বিজেপি বিধায়কের

গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজ্য রাজনীতিতেও হয়েছে একাধিক বদল। মন্ত্রীত্ব ছেড়ে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। এখন তিনি শাসকদলের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক। এখন সেই বাবুল সুপ্রিয়রই শপথগ্রহণের অনুমোদন দিতে গরিমসি করছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল কবে অনুমোদন দেবেন, আর কবে শপথ নিয়ে বিধায়কের কাজ শুরু করবেন বাবুল সুপ্রিয়, তার উত্তর সকলেরই অজানা।

Advertisement