বাংলার খবর
Hooghly News: জীব সেবাই পরমধর্ম, ৭৮-এর বিড়াল দাদুকে চেনেন তো…

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’। ঠিক এই ভাবেই জীব সেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করে আসছেন বছর ৭৮ এর মদন মোহন দাস ওরফে বিড়াল দাদু।
রোজ সকাল ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে সাইকেল নিয়ে গোটা কোন্নগর চত্বরের অলিতে গলিতে যত বিড়াল রয়েছে তাদের পেট পুজোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বিড়াল দাদু।
কোন্নগরের বাটা বাজারে রোজ সকালে মাছের ঝুলি নিয়ে হাজির হন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তখন থেকেই বিড়াল দাদুর কাজ শুরু। টাকা উপার্জনের জন্য বাজারে বিভিন্ন মাছ বিক্রেতাদের হেল্পিং হ্যান্ড এর কাজ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মাছের আঁশ ছাড়িয়ে দেওয়া, মাছ পরিষ্কার করে দেওয়া , জল আনা, চা আনা এই সব তার রোজের কাজ। নিজের কাজ শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় বিড়াল দাদুর আসল কাজ। গোটা বাজার ঘুরে মাছের কানকে ফুলকোর মতন বাতিল অংশগুলিকে তিনি একত্রিত করেন। তারপর সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন গোটা কোন্নগরের অলিতে গলিতে। সেখানে থাকা অভুক্ত বিড়ালদের খাওয়ানোর জন্য।
আরও পড়ুন: South Dinajpur: সর্ষের মধ্যেই ভূত, বাবার ব্যবসার টাকা-গয়না চুরি করে শ্রীঘরে ছেলে
বার্ধক্য জনিত কারণে বিড়াল দাদু কানে একটু কম শুনতে পান। কিন্তু তাতে কি! বিড়ালদের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসার প্রতিরূপ স্বরূপই কোন্নগরে বছর ৭৮ এর মদনমোহন দাস হয়ে উঠেছেন সকলের প্রিয় ‘বিড়াল দাদু’।
আরও পড়ুন: Hooghly: প্রেমের টানে প্যারিস থেকে পাণ্ডুয়া, চারহাত এক হবে কুন্তল-প্র্যাট্রিসিয়ার
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তিনি প্রায় কুড়ি বছর ধরে দেখছেন প্রতিদিন সকালে বিড়াল দাদু কোন্নগরের বিভিন্ন পাড়ার ওলিতে গলিতে গিয়ে বিড়ালদের খেতে দেন। বিড়ালদের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা এবং সেই ভালোবাসার প্রতিরূপ স্বরূপই কোন্নগরে বছর ৭৮ এর মদনমোহন দাস হয়ে উঠেছেন সকলের কাছে বিড়াল দাদু।
আরও পড়ুন: Indigo Flight: উড়ানের আগেই চরম বিপত্তি, রক্ষা পেল কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমান
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীবারের সকালেই শিলিগুড়ির শপিংমলে হাজির হাতি!