দেশের খবর
মহারাষ্ট্রে ক্লাইম্যাক্স আসন্ন! শঙ্কিত শিবসেনাকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা সঞ্জয় রাউতের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নড়বড়ে! মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়লেও এখনও নিজের গদি ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যদিও ইস্তফাপত্র তৈরি বলে বুধবার রাতেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবুও ঘটনার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও ‘মিরাকেলের’ আশায় রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।
শিবসেনা-নির্দল মিলিয়ে একনাথ শিন্ডের বিধায়ক সংখ্যা ৪৮-এ এসে দাঁড়িয়েছে। শুধু সরকার রক্ষা নয়, এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতাও হারিয়ে ফেলেছেন উদ্ধব ঠাকরে। মহারাজনীতির ডামাডোল এই পরিস্থিতিতে নতুন করে ফের মুখ খুললেন শিবসেনা দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।
তিনি বলেন, ”শুধুমাত্র সত্যিকারের শিব সৈনিকরাই ঠাকরে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শিবসেনার যে সব বিধায়করা দল ছাড়ছেন তাঁরা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চাপে এটি করছেন। যিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চাপে দল ত্যাগ করেন তিনি প্রকৃত বালাসাহেবের অনুগামী নন। আমরা সত্যিকারের বালাসাহেব ভক্ত। এমনকি আমরা ইডি-র চাপের সম্মুখীন হচ্ছি। তবে আমরা উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেই থাকব। যখন ফ্লোর টেস্ট হবে, সবাই দেখতে পাবে কে ইতিবাচক আর কে নেতিবাচক”।
आज भी हमारी पार्टी मजबूत है। किस हालात और किस दबाव में उन लोगों ने हमारा साथ छोड़ा उसका खुलासा जल्द होगा… हमारे संपर्क में लगभग 20 विधायक हैं और जब वे मुंबई आएंगे तब इसका खुलासा होगा। जो ED के दबाव में पार्टी छोड़ता है वह बालासाहेब का भक्त नहीं हो सकता: शिवसेना नेता संजय राउत pic.twitter.com/HlwnX8UYXK
— ANI_HindiNews (@AHindinews) June 23, 2022
প্রসঙ্গত, বিদ্রোহী শিবিরের প্রধান মুখ সেই একনাথ শিন্ডে ইতিমধ্যেই নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ দাবি করে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে চিঠি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ৩৪ নয়, তাঁর সমর্থনে ৪৬ বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ক রয়েছেন। সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Tripura Byelection 2022: আগরতলায় ভোট কেন্দ্রে উত্তেজনা, গদি বাঁচাতে মরিয়া প্রার্থী মানিক সাহা
বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দলীয় বিধায়ক এবং রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে জানিয়েছেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও দলের প্রধানের পদ ছেড়ে দিতে তৈরি আছেন। তিনি বলেছেন, ‘দলের বিদ্রোহী বিধায়করা যদি না চান তাহলে আমি এখনই ইস্তফা দিতে প্রস্তুত আছি। আমি আমার পদত্যাগপত্র তৈরি রেখেছি। তবে, বিধায়কদের এসে আমাকে বলতে হবে যে তারা আমাকে আর চায় না। মুখ্যমন্ত্রীর পদ আসবে যাবে। কিন্তু মানুষের ভালোবাসাই হল আসল। গত দুই বছরে মানুষের থেকে আমি যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছি, তার জন্য আমি সত্যিই ভাগ্যবান’।
আরও পড়ুন: যশবন্তকে নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য নয়, আলিমুদ্দিনকে কড়া বার্তা একে গোপালন ভবনের
এদিকে ঘটনাচক্রে এই বক্তব্য রাখার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উদ্ভব ঠাকরে তাঁর সরকারি বাসভবন ছেড়ে পৈতৃক ভিটে মাতোশ্রীতে চলে যান। যার ফলে মহারাষ্ট্রে এখন পালাবদলের সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, অরুণাচলপ্রদেশের পর এবার কি ঘুরপথে মহারাষ্ট্রে দরজা খুলতে পারে কি BJP।