দেশের খবর
মুসলিমরাই সব থেকে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন! বিস্ফোরক দাবি আসাউদ্দিন ওয়াইসির
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নবী ও কালী বিতর্কে উত্তাল গোটা দেশ। এরমধ্যেই আবারও নতুন বিতর্ক। এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মিম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি। জনসংখ্যা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কটাক্ষের জবাবে ওয়াইসি বলেছেন, ‘মুসলিমরাই সব থেকে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন।’ আর তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে দেশে নতুন করে বিতর্কের জন্ম নিয়েছে। জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। নাম না করে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে ইঙ্গিত করে জনসংখ্যায় ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মীয় ভারসাম্য রক্ষার কথাও বলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই পাল্টা এই মন্তব্য করেছেন ওয়াইসি।
সম্প্রতি যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ‘দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি সফলভাবে হওয়া উচিত। তবে অবশ্যই ধর্মীয় ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে থাকাটা অবশ্যই একটা সাফল্য। সমাজ রোগমুক্ত থাকলে তবেই সেটা সম্ভব।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে যোগী আদিত্যনাথকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ওয়াইসি বলেছেন, ‘যোগী আদিত্যনাথের দলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীই তো বলেছেন, দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও আইন বলবৎ করার দরকার নেই। মনে রাখবেন, মুসলিমরাই সব থেকে বেশি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে থাকেন। আর পরিসংখ্যান বলছে ২০১৬ সালে সন্তান প্রসবের হার ছিল ২.৬ শতাংশ। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ২.৩ শতাংশে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মুসলমানরা কি ভারতের আদি বাসিন্দা নন? বাস্তব হল, দেশের প্রকৃত স্থানীয় হল উপজাতি সম্প্রদায় আর দ্রাবিড়রা। কোনও আইন ছাড়াই উত্তরপ্রদেশ ২০২৬-২০৩০ সালের মধ্যে জন্ম নিয়ন্ত্রণের কাঙ্ক্ষিত হারে পৌঁছে যাবে।’
সম্প্রতি, রাষ্ট্রসংঘের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস, ২০২২’ রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। সেই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যেই চিনকে টপকে বিশ্বের সর্বাধিক জনসংখ্যার দেশের তকমা পাবে ভারত। সেই কারণেই দেশে জন্মের হার নিয়ন্ত্রণের চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।