দেশের খবর
অগ্নিবীরদের নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অগ্নিপথ নিয়ে অগ্নিগর্ভ গোটা দেশ। সেনাবাহিনীতে ৪ বছরের চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগের বিরোধিতা করে বিভিন্ন রাজ্যেই চলছে বিক্ষোভ আন্দোলন। অগ্নিপথের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন দেশের বিরোধী দলগুলোর নেতা-নেত্রীরা। চার বছরের কর্মজীবনের পর অগ্নিবীরদের বিজেপির দফতরে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে নিয়োগ করার কথা বলে সেই বিতর্কে ঘি ঢেলেছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী। সোমবার ত্রিপুরা থেকে তাঁর এই মন্তব্যেের তীব্র সমালোচনা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্দুকের লাইসেন্স দিয়ে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে বিজেপি গুন্ডা তৈরির ছক কষছে বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অগ্নিবীরদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিও। সেনাতে চুল কাটা ও কাপড় কাচার মতো প্রশিক্ষণ অগ্নিবীররা পাবেন বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এবার অগ্নিবীরদের হিটলারের নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। তাঁর এই মন্তব্য সেনাদের অপমানিত করেছে বলে পাল্টা প্রতিবাদ উঠেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রথম পর্যায়ে অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রায় ১০ লক্ষ অগ্নিবীর নিয়োগ করা হবে। আর এই অগ্নিবীরদের কে বা কারা নিয়োগ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কুমারস্বামী। আরএসএস এই নিয়োগ করতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নির্বাচিত অগ্নিবীরদের মধ্যে আরএসএস-এর একটি দল থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিন কুমারস্বামী বলেছেন, ‘অগ্নিপথ হচ্ছে আরএসএস-এর একটি লুকোনো কর্মসূচি। এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই সেনাবাহিনীকে নিজেদের কব্জায় আনতে চাইছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিতে পারে আরএসএস। চার বছর পর প্রায় সাড়ে সাত লাখ অগ্নিবীরকে নাৎসি আমলের মতো ব্যবহার করা হবে।’
অগ্নিপথ নিয়ে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ আন্দোলনের মধ্যে এই প্রকল্পে বেশ কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে। চার বছরের কর্মজীবন শেষ হলে অগ্নিবীরদের চাকরির আশ্বাস দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্য সরকার। যদিও এর পরও অগ্নিপথ নিয়ে বিক্ষোভ, আন্দোলন একটুও কমেনি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও জানিয়ে দিয়েছেন, অপরিকল্পিতভাবে এই অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করায় তিন কৃষি বিলের মতো এই অগ্নিপথ প্রকল্পও প্রত্যাহার করে নিতে হবে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। বিক্ষোভ, আন্দোলন না কমায়, মোদি সরকার কি সেই পথেই হাঁটবে! এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে।