রাজনীতি
দলের ভিতরেই প্রকট গোষ্ঠীকোন্দল, দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দুই কেন্দ্রের ভোট মিটতেই ফের প্রকাশ্যে চলে এলো BJP-শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে খোদ দলের কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, হুগলী সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভের আঁচ মালুম হচ্ছিল কদিন ধরেই। একবার মন্ডল সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করেও তা প্রত্যাহার করে নেন বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার। ঘটনার দু’দিন পরেই ৩০ জন মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়। আর এই নামের তালিকা প্রকাশ হতেই অসন্তোষ দেখা দেয় বিজেপির অন্দরে।
আরও পড়ুন: মোদি-মমতা কথা, চলতি এপ্রিলেই দিল্লি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী
জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার ও জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ তাঁদের নিজেদের লোককে মন্ডল সভাপতি করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর দেখা যায়, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। অভিযোগ, বিজেপি কর্মী ফেসবুকে লেখেন, ”কোন নেতা বা নেত্রী সুপারিশে দলের দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ হোক। তবেই যোগ্য ব্যক্তিরা জায়গা পাবে। তবে এই ঝামেলা বন্ধ হবে। দল তাহলে কি দেখছে। তাই যদি হয় তাহলে দলের কাজ না করে নেতা বা নেত্রীর পিছনে ঘুরলেই তো হয়ে যাবে।” ওই পোস্টে অভিজিৎ দে মন্তব্য করেন, ”পার্টি অফিস ভেঙে ফেলো সবাই মিলে,তার সঙ্গে টাকলুটা মেন ভিলেন।”
আরও পড়ুন: পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় নাম, বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে
অভিযোগ, এই পোস্ট ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে বিজেপি জেলা নেতৃত্ব। ক্ষোভের আগুন বাড়তে পারে আঁচ করে তড়িঘড়ি চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ করল বিজেপি নেতৃত্ব? এ প্রসঙ্গে সুরেশ সাউ বলেন, ”আসলে ভোটের সময় অনেক বেনোজল বিজেপি ঢুকেছে। তারাই এখন এসব করছে। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা চলছে। দলীয় অফিস ভেঙে দিতে সোশাল মিডিয়ায় প্রচার চলছে। এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ ব্যবস্থা নিক।”