বাংলার খবর
South Dinajpur: সর্ষের মধ্যেই ভূত, বাবার ব্যবসার টাকা-গয়না চুরি করে শ্রীঘরে ছেলে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: বাবার লকার ভেঙে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট। তবুও শেষ রক্ষা হল না ছেলের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পুলিশ শিলিগুড়ির এক ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর টাকা গয়না সহ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত ঈশানকে।
জানা গিয়েছে, বংশীহারী থানার পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে ধৃতকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম ঈশান কারজাই(২০)। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌর এলাকার বড়াইলে। সে বুনিয়াদপুরে প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর ছেলে। শুধু তাই নয়, ধৃতের নামেই রয়েছে বাবার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম।
এই বিষয়ে ধৃতের বাবা আবু তাহের রহমান এর অভিযোগ, গত ১৮ জুলাই তার ছেলে ঈশান কারজাই বাড়ির লকার ভেঙে নগদ ৯ লাখ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর পরিবারের লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পেয়ে ২৩ জুলাই ঈশান এর বাবা আবু তাহের রহমান বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে বংশিহারী থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Indigo Flight: উড়ানের আগেই চরম বিপত্তি, রক্ষা পেল কলকাতাগামী ইন্ডিগোর বিমান
থানার এএসআই বিপ্লব দাসের নেতৃত্বে মোবাইল লোকেশন ধরে শিলিগুড়িতে পৌঁছয় পুলিশের দল। আরও জানা গিয়েছে, ১৯ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সে শিলিগুড়ির বিভিন্ন হোটেলে রাত কাটায়। ২৬ জুলাই শিলিগুড়ির রবীন্দ্রসরনীর রাজা রামমোহন রায় রোডে বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় ঈশান একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয়।
মোবাইল টাওয়ার ধরে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ফ্ল্যাটে পৌঁছয় এএসআই বিপ্লব দাস সহ অন্যান্যরা। এরপর হাতেনাতে ফ্লাট থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় নগদ ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও ছিল একটি সোনার আংটি ও একজোড়া কানের দুল।
আরও পড়ুন: Hooghly: প্রেমের টানে প্যারিস থেকে পাণ্ডুয়া, চারহাত এক হবে কুন্তল-প্র্যাট্রিসিয়ার
বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, ”বাড়ি থেকে লকার ভেঙে ৯ লাখ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছিল ঈশান কারজাই। বাবা আবু তাহের রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার শিলিগুড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা, সোনার গয়না সহ ঈশানকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে”।