দেশের খবর
তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় তামাং

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি বিনয় তামাং এবং কার্শিয়াংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক রোহিত শর্মা। জিটিএ নির্বাচনের আগেই বিনয় তামাংয়ের তৃণমূলে যোগদান নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর যোগদানে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
শুক্রবার ক্যামাক স্ট্রিটের এক হোটেলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিনয় এবং রোহিত। তৃণমূলে যোগ দিয়ে বিনয় তামাং জানিয়ে দিয়েছেন ২০২৪ সালে তাঁরা দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান। বিনয় বলেছেন, ‘গত ১৫ জুলাই আমি আমার দল ছাড়ার পাশাপাশি সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। তারপর ১৬৪ দিন হয়ে গেল। আমি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিইনি। কারও সঙ্গে কোনও কথাও বলিনি। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল। উনি একজন ডায়ানামিক নেত্রী। আমি এক সময় স্থানীয় পার্টি করতাম। এখন জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের জন্য সেবা করতে চাই।
আমরা ২০২৪ সালে জাতীয় রাজনীতিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চাই। সর্বভারতীয় তৃণমূলে থেকেই আমরা পাহাড়বাসী সহ গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষের সেবা করতে চাই।’ ২০১৭ সালে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ছিলেন বিনয় তামাং। কিন্তু তৃণমূল প্রথম থেকেই রাজ্যে ভাগের বিরুদ্ধে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এবার তাঁর ভূমিকা কী হবে, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে বিজেপিকে আক্রমণ করে বিনয় তামাং বলেছেন, ‘সেই সময় পাহাড়ে ১০৫ দিন ধরে হরতাল হয়েছিল। তাতে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে সেখানে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করেছিলাম আমরা।
কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি এই ইস্যু থেকে ফয়দা তুলে তিনবার লোকসভা ভোটে জয় পেয়েছে। এই ইস্যুতে আমাদের আবেগকে ব্ল্যাকমেল করে গিয়েছে। এটা আলাদা রাজ্যের বিষয় নয়। আমরা চাই সকলে মিলেমিশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাহাড়ের উন্নয়ন করতে। সে শিক্ষা, স্বাস্থ্য বা পর্যটন- সবক্ষেত্রেই। যেখানে আমরা কাজ করতে পারি, সেখানে কাজ করব। তাই সর্বভারতীয় দল তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’ কিন্তু বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে এবার তাঁর সম্পর্ক কী হবে! কারণ দু’জনেই একে অপরের প্রতিপক্ষ। তার উত্তরে বিনয় তামাং বলেন, ‘বিমল গুরুং আগে কলকাতায় এসেছিলেন। কথাবার্তাও হয়েছে। আমার সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমরা মিলেমিশেই কাজ করব। এখান থেকে দল যা নির্দেশ দেবে, আমরা সেই মতো কাজ করব।’