দেশের খবর
বন্যা বিধ্বস্ত অসম, ক্ষতিগ্রস্ত ৩০ লাখের বেশি মানুষ!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দিন যতই যাচ্ছে ততই ভয়াবহ হচ্ছে অসমের বন্যা পরিস্থিতি। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের পাঁচটি বড় নদীর জল।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারেও অসমের বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনও উন্নতি হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৮০-র উপরে। ৩৪টি জেলা এখনও জলের তলায়। মানুষ যে সরকারি সাহায্য নেবে তারও উপায় নেই। অসমের প্রায় সমস্ত সরকারি অফিস জলের তলায় ডুবে গিয়েছে। প্রবল এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ১৪২ জন মানুষ।
অসমের বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য জানাতে গিয়ে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে নতুন করে আরও ১০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ২ জন পুলিশও রয়েছে বলে খবর জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল, অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লাখ
গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২,৩১,৮১৯ জনকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে বন্যা দুর্গত মানুষদের সহায়তা করতে অসমের কপিল নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন রাজ্যের এক পুলিশ অফিসার সহ আরও ১ কনস্টেবল।
জানা গিয়েছে, অসমের ব্রহ্মপুত্র, কপিলি, বেকি, পাগলাদিয়া, পুথিমারী- সহ মোট পাঁচটি নদীর জল বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) চারটি ইউনিট, আধুনিক জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সহ মোট ১০৫ জন কর্মীকে মঙ্গলবার বরাক উপত্যকায় বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে অসমের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সবকিছু দ্রুত আয়োজন করে ফেলার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ”জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে ৪ ইউনিটের মোট ১০৫ জন সদস্য ইতিমধ্যে ভুবনেশ্বর থেকে বারাক উপত্যকায় এসে পৌঁছেছেন। সেখানে আটকে থাকা দুর্গতদের উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে তাঁদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজিকে এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ”।
আরও পড়ুন: ‘ভালো কাজেও লেগে যাচ্ছে রাজনীতির রঙ’! অগ্নিপথ নিয়ে আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, অসমের বন্যার কারণে যে ৩৩’টি জেলা সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলি হল, বাজালি, বকসা, বরপেটা, বিশ্বনাথ, বনগাঁইগাঁওন, কাছাড়, চিরং, দরং, ডিব্রুগড়, ডিমা-হাসাও, শণিতপুর, লখিমপুর, মাজুলি, গুয়াহাটি সহ আরও অনেক জেলা রয়েছে এই বন্যা ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায়।