দেশের খবর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে কীর্তি আজাদ, পবণ বর্মা, অশোক তানওয়ার, দেখা করলেন জাভেদ আখতারও
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম লক্ষ হিসেবে ত্রিপুরা এবং গোয়ায় ক্ষমতা দখলের জন্য ঝাঁপিয়েছেন।
শুধু মাত্র দু-তিনটি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যান্য রাজ্যেও শক্তি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দলের নেতাদের পাশাপাশি অন্য দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করেছে তৃণমূল। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে যোগদান করিয়ে আগেই চমক দিয়েছিল। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরে অনেকেই চমক রয়েছে বলেই মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অন্য কোনও তৃণমূল নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি পৌঁছাতেই পরিষ্কার হয়ে গেল তিনি তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরতে চান। মঙ্গলবার দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিশিষ্ট গীতিকার জাভেদ আকতার ও সুধীন্দ্র কুলকার্ণি সহ বেশ কিছু কলা কুশলী। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন তিনি।
এর পরই মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করলেন প্রাক্তন জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) নেতা পবণ বর্মা। তিনি এক সময় ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপদেষ্টা। রাজ্যসভার সাংসদও হয়েছিলেন। ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং বিহারের দ্বারভাঙা থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী দু’বারের সাংসদ কীর্তি আজাদ এবং অশোক তানওয়ারও এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলে যোগ দিলেন। রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠ অশোক কংগ্রেসের সাংসদও ছিলেন। প্রত্যেকের গলাতে তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেই। দিল্লিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আগত প্রত্যেক অতিথিকেই বাড়ির গেট অবধি এগিয়ে দিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যোগদান পর্বের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এর পর তিনি পঞ্জাব, হরিয়ানাতেও যাবেন। এবং সেখানে সংগঠন বিস্তার করবেন। এবারের মমতার দিল্লি সফর চারদিনের। সুতরাং, আরও কী কী চমক অপেক্ষা করছে তা সময়ই বলবে। মনে করা হচ্ছে আরও কিছু রাজনৈতিক বড় মুখ মমতার এই সফরেই তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে কীর্তি আজাদ খুবই উচ্ছসিত। তিনি বলেছেন, দেশে বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রী দরকার।