দেশের খবর
হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে এনকাউন্টার ‘ভুয়ো’, দাবি শীর্ষ আদালতের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘এনকাউন্টার’! ২০১৯সালে তেলেঙ্গনার সামশাবাদের তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটাদেশ। ঘটনার বেশ কিছুদিন পর এনকাউন্টারে নিহত হয় ৪ অভিযুক্তরা।
২০১৯ সালের সেই ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত রিপোর্টে এনকাউন্টারের ঘটনা ‘ফেক’ বলে দাবি করল সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত কমিটি। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে তেলেঙ্গনার সামশাবাদের এক টোলপ্লাজার কাছে এক চিকিৎসক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার বীভৎসতায় কেঁপে ওঠে সারাদেশ। দ্রুত অভিযুক্তদের পাকড়াও করে কড়া শাস্তির দাবি ওঠে দেশজুড়ে।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই ঘটনায় হায়দরাবাদ পুলিশ প্রথম দিকে অভিযুক্তদের ধরতে গড়িমসি করলেও শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ অভিযুক্ত। এরপর ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর অভিযুক্তদের সামশাবাদের টোলপ্লাজার কাছে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুননির্মাণ করার চেষ্টা করেন হায়দরাবাদ পুলিশ।
আরও পড়ুন: ৩৪ বছর আগের অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ, আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন সিধু
অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের বন্দুক ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করছিল ৪ অভিযুক্ত। ধৃতদের ধরতে গিয়ে গুলি ছোড়া হলে তাতেই মৃত্যু হয় ওই ৪ অভিযুক্তের। এদিকে এই গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, গোটা ঘটনাটি সাজানো এবং পূর্ব পরিকল্পিত। তারপরই নড়েচরে বসে তদন্ত কমিটি। এবার সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সিলমোহর দিয়েছে শিরপুরকার কমিটি।
আরও পড়ুন: চারধাম যাত্রায় বিপত্তি, গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারালেন ৪৮
এদিকে কমিটির রিপোর্টে সিলমোহর পড়তেই ফের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তেলেঙ্গনা হাইকোর্টকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।