যুদ্ধ থামাচ্ছে না রাশিয়া, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কায় জেলেনস্কি
Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধ থামাচ্ছে না রাশিয়া, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কায় জেলেনস্কি

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: টানা ২৬ দিন ধরে অব্যাহত রুশ-ইউক্রেন দ্বন্ধ। রাশিয়ার অবিরত হামলায় মুহুর্তের মধ্যে ধ্বসে পড়ছে একের পর এক বহুতল। জনমানবহীন ইউক্রেন যেন এখন মৃত্যুপুরী। কান পাতলে শুধুই শোনা যাচ্ছে মুহুর্মুহ গোলাগুলি-বোমাবর্ষণ আর সাইরেনের শব্দ। আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে পুতিনের দেশ। তবুও মাথা নত করতে নারাজ রাশিয়া।

দেশের এই দুর্দিনে ফের রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানালেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি। এদিন তিনি একটি টুইট বার্তায় জানান, দিন দিন পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় তিনি ফের মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তবে রেখেছেন একটি শর্ত। রাশিয়া যদি চেষ্টা করে ইউক্রেন দখলে তা ব্যর্থ হবে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি ক্রমশ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলেন্সকি।

শুধু তাই নয়, জেলেন্সকি অভিযোগ করে আরও বলেন, ”রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনের উপর হামলা শুরু করেছে তাতে বিশ্বের মানচিত্র থেকে ইউক্রেনকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যেভাবে প্রতিদিন রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে তাতে গোটা মানবজাতি ধ্বংসের পথে। বাড়িঘর হারিয়ে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন বহু ইউক্রেনীয় নাগরিকরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ইউক্রেন দখলে মরিয়া পুতিন, প্রতিরক্ষা ধ্বংস করতে হাইপারসনিক মিসাইল ছুঁড়ছে রাশিয়া

এদিকে, ক্রমাগত রুশ হামলায় বিপর্যস্ত ইউক্রেন। ইউক্রেন দখল নিতে এবার হাইপারসনিক মিসাইল ছুঁড়তে শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার হামলার জেরে সুমি শহরের অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক। বহু প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই দুই দেশের যুদ্ধে গত ২৬ দিনে ইউক্রেনে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬.৫ মিলিয়নেরও বেশি। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছেন অন্তত ৬.৫ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় নাগরিক। এছাড়াও জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা একটি সমীক্ষায় জানিয়েছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছেড়ে উদ্বাস্তুর মতন প্রতিবেশী দেশের সীমান্তে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ৩.২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানের শিয়ালকোট সেনাঘাঁটিতে পরপর বিস্ফোরণ, ঘণীভূত হচ্ছে ইমরান খানের সরকার পতনের রহস্য

Advertisement

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের অনুমান বলছে যে, ইউক্রেন-রাশিয়া এবং সিরিয়ার বিধ্বংসী যুদ্ধে বাস্তুচ্যুতির মাত্রা মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। যা দেশ এবং বিদেশে প্রায় ১৩ মিলিয়ন লোককে তাদের নিজেদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করেছে।