আন্তর্জাতিক
রাষ্ট্রপতি ভবনে শ্রীলঙ্কাবাসির তাণ্ডব, দেশ ছাড়লেন রাজাপাকসে!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দিন যত যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার। ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা ‘ভাঁড়ারে মা ভবানী’। এই অবস্থায় শনিবার জনতা প্লাবন দেখা গেল প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনের সামনে।
জানা গিয়েছে, দেশের এই অচলাবস্থা কাটাতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি সরব হয়েছেন রাজাপাকসের দলেরই ১৬ সাংসদ। সবমিলিয়ে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি করছে দেশবাসী।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সঙ্কটে জেরবার দেশ, চা-রুটি বিক্রি করছেন প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার
— Riyas (@riyasmarts) July 9, 2022
সে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক ডামাডোলের জেরে প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের (Sri Lanka President Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে সরব জনগণ। প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে পারে তারা, এই আশঙ্কায় শ্রীলঙ্কার রাজধানীতে কারফিউ জারি করা হয়েছিল।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে তা আগেই আঁচ করেছিল পুলিশ-সেনা। তাই আগেভাগেই রাজপ্রাসাদ ছাড়েন গোতাবায়া। সূত্রের খবর, সেনার সদর দফতরে আশ্রয় নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর আগে কখনও এত খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়নি। খাদ্য-পণ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি তেলের সঙ্কটে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে মজুত কয়লার ভাণ্ডার। হাতে আর যা জ্বালানি আছে তা দিয়ে মেরেকেটে আর মাত্র কয়দিন চলতে পারে। এমনটাই খবর শ্রীলঙ্কার প্রশাসন সূত্রে।
আরও পড়ুন:
ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রের অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রাক্তন শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার Roshan Mahanama-কে পাউরুটি, চায়ের ট্রে হাতে দেখা গিয়েছে রাজধানী শহর কলম্বোর একটি পেট্রোল পাম্পে। অর্থনৈতিক এই করুণ দশা শুধু শ্রীলঙ্কার একার নয়।
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়ে পালাতে পারবেন না মাহিন্দা, কারণ জানাল শ্রীলঙ্কা আদালত
একই পথে হাঁটছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। সেখানের পরিস্থিতিও ক্রমশ জটিল হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার মতো একগাদা ঋণের বোঝা না থাকলেও দেশের GDP-র বৃদ্ধির হার অত্যন্ত শ্লথ। যার ফলে প্রায় নুইয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতির কোমর। পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলায় পাকিস্তানের বাসিন্দাদের চা পান করার অভ্যাস কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন পাক মন্ত্রী।