সিকিমে আবারও ধস, অসমে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু দুই নবালকের
Connect with us

দেশের খবর

সিকিমে আবারও ধস, অসমে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু দুই নবালকের

Raju Dhara

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটকের মধ্যে বিশ মাইলের রংপোর কাছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বুধবার ধস নেমেছিল। বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাংটক এবং শিলিগুড়ির মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। কিন্তু ফের ধসের কবলে সিকিম। এবার ধসের কবলে উত্তর সিকিম। উত্তর সিকিমের লাচেন এবং লাচুঙের মধ্যে রাস্তায় ধস নামে। লাচুং যাওয়ার রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ ধসে গিয়েছে। রাস্তার উপর দিয়ে ঝরনার জল এমন ভাবে বয়ে যাচ্ছে, দেখে মনে হচ্ছে যেন আস্ত একটা নদী বইছে রাস্তার উপর দিয়ে।

উত্তর সিকিমের এই রাস্তায় ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পর্যটকদের ইউমথাং ভ্যালি এবং জিরো পয়েন্ট যাত্রাও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বেশ কয়েকদিন লেগে যেতে পারে অবস্থা স্বাভাবিক হতে। লাচুঙে আটকে পড়েছেন বেশ কিছু পর্যটকও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর সিকিম যাওয়ার অনুমতিপত্র দেওয়ার কাজও। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এবং সেনা জওয়ানদের তলব করা হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

শুধু সিকিম নয়, প্রবল বৃষ্টিতে ধস নামায় বিপর্যস্ত অসমও। অসমের গোয়ালপাড়া এলাকায় ধস নামায় দুই নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধসের জেরে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ওই দুই নাবালকের। ধসের ভিতর থেকে ওই দুই নাবালকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত তিন দিনে ধসে এই নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হল অসমে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Advertisement

প্রবল বৃষ্টিতে অসমের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অসমের বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষদের উদ্ধার করতে নৌকা করে দুর্গত এলাকায় পৌঁছচ্ছে উদ্ধারকারী দল। গুহাটিতে একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত এই বছরে মোট ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে অসমে। গত মাসেও ভয়ংকর বন্যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলে গোটা অসম। রেল ও সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অসমের পাশাপাশি মেঘালয়েও জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে বলে জানা গিয়েছে।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.