দেশের খবর
অদম্য জেদের কাছে হার মানল প্রতিবন্ধকতা, পাহাড়ি কন্যার ISRO জয়
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মনের ইচ্ছা আর জেদ থাকলে কি না হয়। উত্তরাখণ্ডের এক ছোট্ট গ্রাম থেকে ISRO মতো জাতীয় এক সংস্থায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যে সহজ ছিলো না তা বলা বাকি রাখে না, তবে সেই দুর্গম পথ পেরিয়ে আজ ISRO-এর একজন কর্মী হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অর্চনা বিষ্ট।
উত্তরাখণ্ডের পাহারের মাঝে যেন প্রতিভা ভরপুর সে গায়ক, নায়ক বা বিজ্ঞানী একের পর এক প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব সামনে এসেছে। অর্চনার এই সাফল্য শুধু উত্তরাখণ্ডের মাটিকে নয় বহু যুবক যুবতীর ইচ্ছেকে উৎসাহিত করেছে। অর্চনা উত্তরাখণ্ডের দ্বারখাল জেলার হিলোগি গ্রামের বাসিন্দা। ইচ্ছে আর অধ্যাবসায় থাকলে যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার এক জলজ্যান্ত উদাহরণ অর্চনা বিষ্ট।
ছোট থেকেই অর্চনা পড়াশুনায় আর পাঁচজনের মতো ছিলো না। এই বিষয়ে তিনি এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ”পড়াশুনা তার কাছে অদ্ভুত লাগতো। নতুন কিছু পড়তে আর সেই বিষয়ে জানতে তিনি খুব আনন্দ উপভোগ করতেন। বন্ধুরা যখন খেলায় ব্যাস্ত থাকতো অর্চনা তখন গল্পের বই এবং মনীষীদের জীবনী পড়তেন। তবুও অর্চনা অঙ্কে কাঁচা ছিলেন, এমন কি একবার পরীক্ষায় অর্চনা ১১ পেয়েছিলেন , তারপরই এই ধন্যি মেয়ে ঠিক করেন অঙ্কে সে সেরা হবে।”
আরও পড়ুন: চাহিদা তুঙ্গে, বাজারে কেন বাড়ছে পাতিলেবুর দাম জানুন…
গাজিয়াবাদের এক বিখ্যাত স্কুল ব্লুম ইন্টারন্যাশনাল থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত টপার ছাত্রী হিসেবে পড়া শেষ করে এরপর ২০১৬ সালে গণিতে স্নাতক, বিএইচইউ বেনারস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি উত্তীর্ণ হন সিএসআইআর (CSIR), আইআইটি রুরকিতে পিএইচডি করে অর্চনা প্রস্তুতি নেয় ISRO এর জন্য এবং তাতেও সফল হন এই সোনার কন্যা।
আরও পড়ুন: প্যারিসে ওয়ার্ল্ড স্কুল স্পোর্টসে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেল হুগলির জয়ীতা মালিক
লকডাউনে যখন সারাদেশ বন্ধ, অর্চনা তখন থেমে নেই। সুন্দর ভাবে তৈরি করে নিয়েছে তার দুনিয়া। তিনি জানান, কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং নিরলসভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ফলেই তিনি ইসরোতে নির্বাচিত হয়েছেন । মধ্যবিত্ত পরিবারে আয়ের একমাত্র উৎস অর্চনার বাবা একজন বেসরকারি সংস্থার কর্মী আর মা গৃহবধূ। মেয়ের নজরকারা সাফল্য খুশি মা-বাবা দুজনেই । জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে পারলে, আর সেই লক্ষে নিজেকে নিয়ে যেতে যত বাঁধা বিপত্তি আসুক না কেনো তাকে তোয়াক্কা না করে সামনে এগিয়ে গেলেই সাফল্য পাওয়া যায় তারই প্রমাণ দিলো পাহাড়ি সোনার কন্যা অর্চনা বিষ্ট।