দেশের খবর
ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি-মুম্বই, তিন রাজ্যে বর্ষার বলি ১৮

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: চলতি মরশুমের শুরু থেকেই বৃষ্টির ঘাটতি ছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে ঘণীভূত নিম্নচাপের জেরে সেই ঘাটতি কিছুটা মিটেছে। এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত অবস্থা দেশের ৩ রাজ্যের। প্রবল বর্ষণে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৮ জন। এখনও আগামী কয়েকদিন একইরকম আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মুষলধারে বর্ষণে তেলঙ্গানায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় এখনও পর্যন্ত ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়াও কর্ণাটক ও অসমের কয়েক হাজার মানুষ বন্যা ও ভূমিধসের কবলে পড়েছেন। রাজস্থান রাজ্যের পূর্ব প্রান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন।
আরও পড়ুন: গুরুতর অসুস্থ কবি ভারভারা রাওয়ের জামিনের মেয়াদ বাড়াল সুপ্রিম কোর্ট
Maharashtra | Pune receives heavy spell of rain
A red alert has been issued for Kolhapur, Palghar, Nashik, Pune, and Ratnagiri districts for heavy rains till July 14. pic.twitter.com/zi4DUNrYSf
— ANI (@ANI) July 12, 2022
টানা বৃষ্টির কারণে মুম্বই, মহারাষ্ট্র, থানে ও পালঘর জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আপাতত আগামী আরও কয়েকদিন এই ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এছাড়াও আগামী তিন ঘণ্টার মধ্যে ভান্ডারা, নাগপুর, গোন্দিয়া এবং ওয়ার্ধাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মাঝারি বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ভান্ডারার অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গোন্দিয়া, নাগপুর, অমরাবতী এবং ওয়ার্ধা কিছু জায়গায় প্রবল বৃষ্টিপাত হবে। বিদর্ভের আকোলা, চন্দ্রপুর, গদচিরোলি, ইয়াভাতমাল, ওয়াশিম এবং বুলধানা জেলার বিচ্ছিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
#WATCH | Gujarat: Several parts of Navsari inundate increasingly amid a heavy downpour in the state#GujaratFloods pic.twitter.com/zfX6sSgghh
— ANI (@ANI) July 13, 2022
আরও পড়ুন: উপত্যকায় আবারও উত্তেজনা, জঙ্গিদের গুলিতে নিহত এক পুলিশ কর্মী, আহত ২
অন্যদিকে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই মঙ্গলবার কোডাগু জেলায় বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করেছেন। যেখানে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ভূমিধস এবং বন্যায় অনেক জায়গায় সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সমুদ্র তীরবর্তী রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে এই বন্যা প্রভাবিত করেছে এবং উত্তর কর্ণাটকের অনেক অংশে নদীর তীরবর্তী বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।