দেশের খবর
উদ্ভবের পিঠে ক্ষতচিহ্ন! ঠিক এমনটাই ঘটেছে, সঞ্জয়ের টুইট ঘিরে জল্পনা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরই বুধবার রাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ভব ঠাকরে। ফেসবুক লাইভে এসে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে নাম না করে বিদ্রোহী শিবিরের নেতা একনাথ শিন্ডেকে উদ্দেশ্যে করে উদ্ভব ঠাকরে বলেছিলেন, ‘যারা কাছে ছিল তারাই আছে দূরে। আর যারা দূরে ছিল তারাই আজ কাছে। যাদের জন্য আমি এত কিছু করেছি তারাই আজ আমার বিরোধিতা করছে। অনেককে পান বিক্রেতা, অটো চালক থেকে আমি বিধায়ক, মন্ত্রী বানিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে তাদের কীসের এত রাগ, আমি জানিনা।’
এরপরই টুইটারে একটি ছবি এবং তার সঙ্গে মারাঠি ভাষায় তিনটি শব্দ লিখে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নতুন জল্পনার জন্ম দিলেন উদ্ভব ঠাকরে অনুগামী শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তিনি টুইটারে যে ছবিটি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরা একজনের শরীরের পিছনের অংশ। এবং তার পিঠে তিনটি গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এবং ছবির উপরে মারাঠি ভাষায় লেখা ‘নামকে হেচ ঘডলে’। বাংলায় যার অর্থ ‘ঠিক এমনটাই ঘটেছে’।
সঞ্জয় রাউতের পোস্ট করা এই ছবির সঙ্গে উদ্ভব ঠাকরের অবয়বের মিল রয়েছে। আর আঘাতের চিহ্নটা ইঙ্গিত করছে, তাঁকে পিছন থেকে ছুরি মারা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, এই ছবির মাধ্যমে একনাথ শিন্ডেকেই ইঙ্গিত করেছেন সঞ্জয় রাউত। আরও মনে করা হচ্ছে, পিঠে সমান আকৃতির যে তিনটে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে, সেগুলো ছুরি বা অন্য কোনও ধারালো অস্ত্রের দ্বারা করা হয়েছে। অনেকে মনে করছেন বাঘের নখ দিয়েই এই ক্ষত তৈরি করা হয়েছে। কারণ মারাঠি ইতিহাস বলছে, এই বাঘের নখ দিয়েই বিজাপুরের সেনাপতি আফজল খানকে হত্যা করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজী।
তাছাড়া বুধবার উদ্ভব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরেই সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, ‘নিজেদের লোকেরাই পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। কিন্তু ক্ষমতার জন্য শিবসেনার জন্ম হয়নি। শিবসেনার জন্য ক্ষমতার জন্ম হয়।’ টুইটারি এই ছবিটি পোস্ট করে সঞ্জয় রাউত সেই কথাটাই আরও একবার বোঝাতে চেয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।