বাংলার খবর
রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বাঁকুড়ায়! ভাইয়ের পচাগলা দেহ আগলে রাখলেন দাদা-বৌদি

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ফের বাংলার বুকে আরও একটা রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ড! ভাইয়ের পচাগলা মৃতদেহ আগলে তাঁর সঙ্গেই একই বাড়িতে বসবাস করছিলেন দাদা-বৌদি। ঘটনাস্থল বাঁকুড়া।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার দোলতলা এলাকার একটি বাড়ি থেকে অসহ্য পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বুঝতে পারেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্গন্ধের উৎস সন্ধানে প্রতিবেশীরাই খবর দেন পুলিশে। ঘটনার খবর পেয়ে ওই দোলতলা এলাকায় এসে পুলিশ যা আবিস্কার করলেন তাতে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভাইয়ের মৃতদেহ বাড়িতে রেখেই বসবাস করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা অশোক কর্মকার (Ashoke Karmakar) ও তাঁর স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অশোক কর্মকারের ভাই সনৎ কর্মকারের(Sanat Karmakar) মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দু’দিন আগে। যদিও তা মানতে নারাজ দাদা অশোক কর্মকার। তাঁর দাবি ভাই এর মৃত্যু হয়েছে শুক্রবারই।
আরও পড়ুন: কাশীপুর কাণ্ড: কমান্ড হাসপাতালে হবে বিজেপি নেতার ময়না তদন্ত
সূত্রের খবর, বাঁকুড়া শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা এলাকায় নিজেদের বাড়িতেই সপরিবার থাকতেন অশোক কর্মকার। সঙ্গে থাকতেন অবিবাহিত ৫৬ বছর বয়সী ভাই সনৎ কর্মকার। দুই ভাই মিলে রেডিও ও টেপ রেকর্ডার মেরামতির দোকান চালাতেন। স্থানীয়দের দাবি, ওই পরিবার এলাকার কোনও মানুষের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না। শুক্রবার সন্ধ্যে থেকে এলাকায় উৎকট পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। রাত যত বাড়তে থাকে ততই দুর্গন্ধ বাড়তে থাকে।
এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে দুর্গন্ধের উৎস খোঁজার চেষ্টা করতেই অশোক কর্মকার জানান, তাঁর ভাই সনৎ শুক্রবার দুপুরে মারা গিয়েছে। সেই মৃতদেহ বাড়িতে রয়েছে। সেই মৃতদেহ থেকেই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: কাশীপুরে রহস্য মৃত্যু: জনস্বার্থ মামলার অনুমতি হাইকোর্টের
এদিকে কী ভাবে মৃত্যু হল তাঁর ভাইয়ের জানতে পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ