কাশীপুর কাণ্ড: কমান্ড হাসপাতালে হবে বিজেপি নেতার ময়না তদন্ত
Connect with us

বাংলার খবর

কাশীপুর কাণ্ড: কমান্ড হাসপাতালে হবে বিজেপি নেতার ময়না তদন্ত

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আরজি কর হাসপাতালে নয়, কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে ময়না তদন্ত হবে কাশীপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহের। দেহ আরজি কর হাসপাতাল থেকে দ্রুত কমান্ড হাসপাতালে পাঠানোর জন্য কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কমান্ড হাসপাতালের প্রধান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে টিম তৈরি করবেন। সেই দলে থাকবেন কল্যাণী এইমস-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এবং আরজি কর হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেটকে ময়নাতদন্তের সময় হাজির থাকার এবং ভিডিওগ্রাফি করারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মৃতের পরিবারকে যাবতীয় নিরাপত্তা দিতেও কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এই মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবারই বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপির পক্ষ থেকে আইনজীবী সুবীর সান্যাল গোটা বিষয়টা জরুরী ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপের আর্জি জানান। তারপরই প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন গ্রহণ করে। আদালতে বিজেপির আইনজীবী বলেন, ‘মৃতের পরিবার দাবি করেছে, অর্জুনকে খুন করা হয়েছে। কারণ, ঝুলন্ত অবস্থায় অর্জুনের পা মাটিতে ঠেকে ছিল। আত্মহত্যার ক্ষেত্রে তা কখনওই সম্ভব নয়। অর্জুনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তারপরই বিজেপির পক্ষের আইনজীবী সরকারি চিকিৎসকদের দিয়ে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত না করিয়ে দিল্লির এইমস-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের এনে ময়নাতদন্ত করানোর দাবি জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালেই কাশীপুরের রেল কোয়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে বছর ২৬এর বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবারের দাবি বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নিখোঁজ ছিলেন অর্জুন। তাঁদের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, অর্জুনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পরিবারের আরও দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেই চিৎপুর থানায় অর্জুনের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানাতে গেলে পুলিশ বিষয়টি পাত্তা দেয়নি। তারপরই শুক্রবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

ভোট পরবর্তী হিংসার সময়ও ঘর ছাড়া ছিলেন অর্জন। তাঁর মা অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই অর্জুনের ফোনে রিং হচ্ছিল। কিন্তু কেউ ধরেনি। পুলিশকে অর্জুনের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানানো হয় রাত ৯ টায়। পুলিশ ফোন ট্র্যাক করলে হয়তো, অর্জুনকে জীবন্ত উদ্ধার করা যেত বলেই দাবি করেছেন মামলাকারি। গত বছরের ১৯ আগস্ট বেলেঘাটায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের ক্ষেত্রেও কমান্ড হাসপাতালে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.