দেশের খবর
বিদ্রোহী বিধায়কদের বোঝাতে তাঁদের গৃহিণীদের ফোন উদ্ভব পত্নীর, জরুরি বৈঠকে শিন্ডে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত। সেই সঙ্গে ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে শিবসেনার গৃহযুদ্ধ। এবার সেই গৃহযুদ্ধে ঢুকে পড়লেন শিবসেনা বিধায়কদের গৃহিণীরাও। দল ও গদি বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা উদ্ভব ঠাকরে এবার স্ত্রীকে দিয়েই ‘মাস্টারকার্ড’ খেললেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ক্ষোভ মিটিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন উদ্ভব পত্নী রশ্মী ঠাকরে। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে যে সমস্ত বিরোধী বিধায়করা গুয়াহাটির হোটেলে রয়েছেন, তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গে রশ্মী যোগাযোগ করে দলে ফিরে আসার আর্জি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, বিদ্রোহীদের স্ত্রীদের সঙ্গে ফোন করে এবং মেসেজ করে কথা বলেছেন রশ্মী। তাঁদের স্বামীদের বোঝানোর জন্য অনুরোধ করেছেন রশ্মী। তিনি নাকি বলেছেন, একনাথ শিন্ডে, তাঁদের স্বামীদের ভুল বুঝিয়ে গুয়াহাটিতে নিয়ে গিয়েছেন। তাই তাঁদের দলে ফিরে আসার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তবে রশ্মীর এই ফোন বা মেসেজ পেয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের স্ত্রীরা তাঁদের স্বামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এদিকে রবিবার দুপুরে বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন একনাথ শিন্ডে। শনিবার রাতে গুয়াহাটি থেকে বিশেষ বিমানে চেপে ভদোদরায় এসেছিলেন শিন্ডে। সেখানে তিনি গিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেখানে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তাঁর সঙ্গে শিন্ডের দেখা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। তবে গুয়াহাটির হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়কদের বুকিং ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। ওই হোটেলের ৭০ ঘরের প্রথমে বুকিং ছিল ২৭ তারিখ পর্যন্ত। পরে বাড়িয়ে তা ২৮ তারিখ করা হয়েছিল। এবার সেটা বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্রে শিন্ডে সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের কার্যালয় ও বাড়ির সামনে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
অপরদিকে শনিবারে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক দীপক কেসারকার জানিয়েছিলেন, তাঁরা শিবসেনা থেকে বেরিয়ে ‘শিবসেনা বালাসাহেব’ নামে নতুন দল তৈরি করবেন। বিদ্রোহী শিবিরের এই ঘোষণার পরই, যাতে কেউ বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করে অন্য দল করতে না পারে, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদনও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে।