বাংলার খবর
একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূলের গ্রামপঞ্চায়েত
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: একটি বা দু’টি নয় কাগজে কলমে প্রায় ১০ টি পুকুর খনন দেখিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত দোমোহনা গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
বাস্তবে দেখা গিয়েছে, ১০ টি কেন ১’টি পুকুর খননেরও অস্তিত্বই নেই ওই গ্রামপঞ্চায়েতের কান্তিরপা সংসদে। অভিযোগ, পুকুর খনন দেখিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে এক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ বেশ কয়েকজন। এরই সুবিচার চেয়ে করনদিঘী ব্লক অফিস থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের দফতর ও উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের সভাধিপতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন দোমোহনা গ্রামপঞ্চায়েতের কান্তিরপা সংসদের বাসিন্দারা। উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন জানিয়েছেন ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
গ্রামে একশো দিনের কাজে পুকুর খননের কাজ করে কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করার কথা রয়েছে। কিন্তু একটি পুকুরও খনন না করেই পঞ্চায়েত থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে করনদিঘী ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত দোমোহনা গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই দার্জিলিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল
একটি বা দু’টি নয় গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ১২/১৫ টি পুকুর খনন দেখিয়ে টাকা লুঠ করার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারাই। সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ তুলে বিষয়টি নিয়ে তারা জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সুবিচার চেয়েছেন।
এ যেন গোটাটাই পুকুর চুরি করার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার করনদিঘী ব্লকের দোমোহনা গ্রামপঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। তাও আবার একটি পুকুর নয় ১০ থেকে ১২ টি পুকুর খনন না করে একশো দিনের কাজের টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
আর এই অভিযোগ শুধু সাধারন মানুষের নয় যে ব্যক্তিদের জায়গা বা জমি এন আর ই জি এস প্রকল্পের পুকুর খনন করার কথা তাঁরাই অভিযোগ তুলেছেন যে তাদের জায়গায় কোনও পুকুরই খনন করা হয়নি। এলাকার বাসিন্দা সেনাউল হক, মহম্ম সোলেমান হক জানিয়েছেন এই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের একই পরিবারের ছয় সাতটি করে পুকুর খনন করা দেখানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঘটনাস্থলগুলিতে গিয়েও দেখা গেল পুকুরের কোনও চিহ্নই সেখানে নেই।
আরও পড়ুন: গবাদি পশুর জন্য নেই কোনও স্থায়ী চিকিৎসালয়, সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ
এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে করনদিঘী ব্লকের দোমোহনা গ্রামপঞ্চায়েতের কান্তিরপা সংসদের বিভিন্ন এলাকায়। অভিযোগকারী বাসিন্দারা এই প্রতারনা ও সরকারি টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হওয়ার পাশাপাশি করনদিঘী ব্লকের বিডিও এবং জেলাশাকের কাছে এমনকি উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলাপরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মন।