ঝাড়গ্রামে মাও পোস্টার উদ্ধার, ধৃতদের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত চার জনকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত।

জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার করে পুলিশ। মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রসেনজিৎ কবিরাজ, মদন কর্মকার, মোহন মাহাত, বিকাশ গিরি নামে চারজনকে গত ২০ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।

এরপর তাদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তারপর তাদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় গড়বেতা আদালত। লালগড় থানার পুলিশ ঐ চারজনকে ২০ মে জেল থেকে রিমান্ডে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে। ঐদিন ঝাড়গ্রাম আদালতে তাদের তোলা হয়। ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ঐ চারজনকে সাতদিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন: জিটিএ নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই দার্জিলিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল

শুক্রবার ফের ঐ চারজনকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। ওই ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার ও দুটি বন্দুক করে লালগড় থানার পুলিশ। সেই জন্য ওই চার জন কে ফের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে লালগড় থানার পুলিশ।

ঝাড়গ্রাম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক লালগড় থানার পুলিশের আবেদন নাকচ করে দিয়ে ওই চার জনকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। লালগড় থানার পুলিশ ওই চারজন কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

উল্লেখ্য, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে লালগড় থানার পুলিশ এক হোমগার্ড এবং দুজন পুলিশ চরকে লালগড়ের আমডাঙায় পোস্টার লাগানোর ঘটনায় গ্রেফতার করেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে লালগড় থানার পুলিশ ওই চারজনের নাম পায়। এদিকে ওই চারজন আগেই গ্রেফতার হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলবন্দি ছিল।

আরও পড়ুন: গবাদি পশুর জন্য নেই কোনও স্থায়ী চিকিৎসালয়, সমস্যায় জেরবার সাধারণ মানুষ

লালগড় থানার পুলিশ তাদের শোন এরেস্ট করে ২০ মে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলে। বিচারক ৭ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়েছিলেন। এদিন তাদের আবারও আদালতে তোলা হলে ৫ দিন পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করে আদালত।