বাংলার খবর
পুলিশি অভিযানে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ সি-হর্স

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পুলিশি অভিযানে হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হল ৫১ কেজি নিষিদ্ধ শুকনো সামুদ্রিক প্রাণী। মঙ্গলবার হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় ওই বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শুকনো সামুদ্রিক প্রাণী।
জানা গিয়েছে, এদিন হাওড়া স্টেশনের রেল পুলিশের তৎপরতায় ১২৮৪০ ডাউন ট্রেন থেকে দশ কার্টুন শুকনো সামুদ্রিক প্রাণী উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় ৫১কেজি। হাওড়ার পণ্য গ্রহণকারী ১২ নম্বর গুমটি থেকে ওই ৫১ কেজির ১০ কার্টুন পণ্য উদ্ধার হয়। যার মধ্যে জীবিত ২ পিস – ৭০০-৭৫০ টাকা মরা প্রাণীর দাম ২৫০ টাকা কেজি লেখা ছিল।
এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রেল পুলিশের দক্ষিণ পোস্ট সিপিডিএস ও ডিআরআই টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় এই চোরাচালান ধরেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে
সূত্র মারফৎ খবর ছিল রেল পুলিশের কাছে যে চেন্নাই থেকে একটি চালান ১২ নম্বর গুমটিতে পৌঁছবে। এই সেই চালানের পণ্যটি ইমদাদুল্লাহ মুন্সী নামের এক ব্যক্তি নিতে আসবে। বাজেয়াপ্ত ওই ১০টি কার্টুনে ৫১ কেজির বিভিন্ন রঙের শুকনো সামুদ্রিক প্রাণী ছিল। সাম্প্রতিক কালে এই ধরণের বস্তু হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়নি বলে জানিয়েছে হাওড়া রেলপুলিশ।
প্রসঙ্গত, মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম ঠেকাতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার দশজন।
সোমবার চন্ডীতলা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে, কুমিরমোরা পঞ্চায়েতের গোকুলপুরে চাষের জমি থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পৌঁছায় সেখানে। ভগবতীপুর উত্তরপাড়া রোডের কুমিরমোরা লোহারপুলের কাছে চারটি মাটি বোঝাই ডাম্পার আটক করে পুলিশ। তাদের কাছে কোনও বৈধ কাগজ ছিল না বলে দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন: রেগুলেটেড মার্কেটিং অথরিটির গেরোয় আটকে কাজু ভর্তি লরি, সমস্যায় ব্যবসায়ীরা
এদিকে ডাম্পার আটকাতেই চন্ডীতলা থানার পুলিশের উপর চড়াও হয় মাটি কাটার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা। মাটি বোঝাই ডাম্পার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে পুলিশকে মারধোর করে। ঘটনায় তিনজন সাব ইন্সপেক্টর সহ ছয় জন আহত হন। তাদের স্থানীয় চন্ডীতলা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর গোকুলপুর থেকে পুলিশ শেখ শামসুদ্দিনকে আটক করে বাকিরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শামসুদ্দিনকে চন্ডীতলা থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বাকি ১০ জনকে রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।এদিন তাদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়।