বাংলার খবর
প্রাথমিক শিক্ষকের সম্পত্তির পরিমাণ দেখে হতবাক পুলিশ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নাম তার দিলিপ কুমার বাড়ুই। তিনি একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। পারিবারিক সম্পত্তি বলতে তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু তার সম্পত্তির পরিমাণ দেখে হতবাক পুলিশ। তমলুক শহরে পদুম বসান এলাকায় দোতলা বাড়ি। এছাড়া হাওড়া দমদমের মতো এলাকায় দুটি ফ্লাট। রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। নিজে ঘুরতেন সবসময় স্করপিও গাড়ি নিয়ে। এছাড়া সাথে থাকতো সবসময় চার পাঁচজন বাউন্সার।
যাদের মোটা অংকের টাকা মাইনে দিয়ে থাকতেন ওই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। থাকেন ময়নার প্রত্যন্ত গ্রাম খিদিরপুরে। গ্রামের ছেলের এইরকম বিলাসবহুল জীবন দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই বিলাসবহুল জীবন বেশিদিন স্থায়ী হল না। গত নভেম্বর মাসে দিলিপ কুমার বাড়ুই এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে টাকা হাতানোর অভিযোগ করেন ভুইয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা শুভজিৎ ভৌমিক। তিনি নন্দকুমার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর থেকেই তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু বেপাত্তা হয়ে যায় দিলিপ। প্রায় তিন মাস লুকিয়ে থাকার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। জেরা করে পুলিশ তার কেচ্ছার কথা জানতে পারে।
আরও পড়ুন: রেগুলেটেড মার্কেটিং অথরিটির গেরোয় আটকে কাজু ভর্তি লরি, সমস্যায় ব্যবসায়ীরা
চাকরি দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলছে দিলিপ। কিন্তু চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা টাকা ফেরত দেওয়ার নামে মাসের পর মাস ঘোরাতেন দিলিপ। অভিযোগ কারী বলেছেন, নিজে স্কুলের শিক্ষক বলে মানুষ বিশ্বাস করত এবং জমি বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিয়েছে দিলিপ কুমার বাড়ুই এর হাতে। শুভজিৎ ভৌমিক এর কাছ থেকে রেলের চাকরি দেওয়ার নাম করে ৬ লক্ষ ৮০ হাজার দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি ও দেননি আবার টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।