বাংলার খবর
পরিসশ্রুত পানীয় জলের অভাব, প্রতিবাদে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হলেন বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলের বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে রাস্তার উপর বালতি-হাঁড়ি নামিয়ে পথ অবরোধ করেন রানীবাঁধের লদ্দা গ্রামের মহিলারা। এদিনের এই অবরোধের জেরে অম্বিকানগর-রুদড়া রাজ্য সড়ক সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। চরম সমস্যায় পড়তে হয় ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী নিত্যযাত্রীদের।
অবরোধকারীদের অভিযোগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের উদ্যোগে গ্রামে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হলেও বিগত চার মাস ধরে তাঁরা জল পাচ্ছেন না। অবরোধকারী নীলিমা মাহাতো, যমুনা মাহাতোরা বলেন, ”পরিশ্রুত জল না পেয়ে পুকুরের জল খেয়েই আমাদের কাটাতে হচ্ছে। এই অবস্থায় কিভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব?”
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে অবরোধ স্থলে পুলিশ এলেও পুলিশি আশ্বাসে তাঁরা খুশি নন জানিয়ে বলেন, ”বিডিওকে গ্রামে এসে নিয়মিত জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।” বিডিও না আসা পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ তুলবেন না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির রোহিতাশ্ব মাহাতো জানান, প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গাতে বলেও জল সমস্যারপ কোনও সুরাহা হয়নি।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরই তৎপর প্রশাসন, বীরভূম থেকে উদ্ধার ৪০০ বোমা
অন্যদিকে, দুর্ঘটনা বাড়তেই নড়েচড়ে বসল কোতুলপুর থানার পুলিশ। বুধবার সকাল থেকেই দেখা গেল কোতুলপুরের বিভিন্ন এলাকায় সেভ ড্রাইভ সেভ লাইফ মূলক প্রচার এবং তার পাশাপাশি হেলমেট বিহীন ব্যক্তিদের দেখলেই তাদেরকে কড়া ধমক দেওয়া শুরু করলেন কোতুলপুর থানার পুলিশ।
এদিন কোতুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাম নারায়ন পাল নিজে রাস্তায় নেমে হেলমেট বিহীন অসচেতন আরোহীদের নিষেধ করেন এবং ধমক দেন যে বৃহস্পতিবার থেকে যদি এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে কঠিন আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ
উল্লেখ, বিগত কয়েকদিনে ৫ টির মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে কোতুলপুর থানা এলাকাতে। তার মধ্য থেকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সেই কারণেই কোতুলপুর পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত দুটি বাইককে কোতুলপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকিদের কড়া ধমক দিয়ে এদিনের মতো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোতুলপুর পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি সাধারণ মানুষ।