নুইয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি, জনগণকে কম করে চা-পান করার নির্দেশ মন্ত্রীর
Connect with us

আন্তর্জাতিক

নুইয়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি, জনগণকে কম করে চা-পান করার নির্দেশ মন্ত্রীর

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও কি ক্রমশ শ্রীলঙ্কার মতো সঙ্গীন? দেনার দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ক্রমশ একইরকম অবস্থা তৈরি হচ্ছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও।

ইমরান খান গদিচ্যুত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন শাহবাজ শরিফ। দেশের মানুষের অনেক আশা ছিল, পাকিস্তান নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলে বদলে যাবে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্র। কিন্তু কল্পনার সঙ্গে পাকবাসীর বাস্তবের ফারাক রয়েছে হাজার গুণ।

শ্রীলঙ্কার মতো একগাদা ঋণের বোঝা না থাকলেও দেশের GDP-র বৃদ্ধির হার অত্যন্ত শ্লথ। যার ফলে প্রায় নুইয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতির কোমর। পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলায় এবার পাকিস্তানের বাসিন্দাদের চা পান করার অভ্যাস কমানোর নির্দেশ দিলেন পাক মন্ত্রী।

Advertisement

পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আহসান ইকবাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে সেখানকার নাগরিকদের কম চা পান করার আহ্বান জানিয়েছেন। আহসান ইকবাল বলেন, ”পাকিস্তানিরা যদি তাঁদের চা খাওয়ার পরিমাণ প্রতিদিন ‘এক বা দুই কাপ’ কমাতে পারেন তাহলে সরকারের উপর চা আমদানির বোঝা অনেকটাই কমবে। কারণ বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ চা আমদানি করতে গিয়ে দেশের উপর আর্থিক চাপের সৃষ্টি হচ্ছে”।

আরও পড়ুন: লাইভ টক-শো’তে আঙ্করকে মারধোর, নেটপাড়ায় তুমুল সমালোচনার মুখে আদর আজাদ

ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ”দেশে ঋণ নিয়ে চা আমদানি করা হচ্ছে।” বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ফেডারেল বাজেট নথিতে দেখা গিয়েছে যে, পাকিস্তান গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ বিলিয়ন (USD 60 মিলিয়ন) মূল্যের চা আমদানি করেছে।

Advertisement

গত সপ্তাহে, পাক সরকার ২০২২-২০২৩ অর্থবর্ষের জন্য একটি নতুন $৪৭ বিলিয়ন বাজেট পেশ করেছে। যাতে ২০১৯ সালে উভয় পক্ষের দ্বারা সম্মত $৬ বিলিয়ন বেলআউট চুক্তিটি পুনরায় চালু করতে আইএমএফকে রাজি করানো যায়।

জানা গিয়েছে, ‘The Observatory of Economic Complexity’ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি চা কেনে পাকিস্তান। পাক সরকার শুধুমাত্র ২০২০ সালে $৬৪০ মিলিয়নেরও বেশি মূল্যের চা কিনেছে।

আরও পড়ুন: প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য সুখবর, ২ বছর পর খুলছে চিনের দরজা

Advertisement

এদিকে, পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। ফেব্রুয়ারীর শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল $১৬.৩ বিলিয়ন থেকে মে মাসে মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.