আন্তর্জাতিক
“মুসলিম হতে হবে” অন্যায় দাবীতে নত না হওয়ায় লাগাতার ধর্ষণের শিকার হিন্দু তরুণী
তিনদিন ধরে লাগাতার পৈশাচিক ঘটনা চলার পর অবশেষে প্রাণ হাতে নিয়ে কোনক্রমে গোপন ডেরা থেকে পালান ওই তরুণী।

ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম হতে হবে হিন্দু ধর্ম পালটে । খবরে উঠে আসা এক হিন্দু বধূ, এই অন্যায় দাবিতে নত না হওয়ায় লাগাতার ধর্ষণের শিকার হলেন ।প্রাণ হাতে নিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে এসে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু হিন্দু বধূর সেই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি, দাবী তরুণীর। ওই তরুণী অবশেষে বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন । পাকিস্তানের এমন নিন্দা জনক ঘটনার কথা ছড়িয়ে পরে ইন্টারনেট জুরে । প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে অমুসলিমদের জোর করে ধর্ম পরিবর্তন, ও ধর্ষণের ঘটনা প্রায়শই ঘটে চলেছে। দেশের প্রশাসন এত অভিযোগ পাওয়া সত্বেও এখনো টনক নড়েনি দেশটির ।
তথ্য সূত্র অনুযায়ী ঠিক কী ঘটেছিল ? জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশেের সামারো এলাকার স্থানীয় কয়েকজন যুবক এক হিন্দু গৃহ বধূকে ধর্ম পালটে ফেলার প্রস্তাব দেয় । কিন্তু তাতে ওই তরুণী রাজি না হওয়ায় তাঁকে গোপনে অপহরণ করা হয়। ওই তরুণী ভিডিওটিতে তাকে অপহরণকারী তিন যুবকের নামও উল্লেখ করেন। ভিডিওতে ওই তরুণী আরও বলেন, তাকে ধর্ম পরিবর্তন করতে একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় লাগাতার তাঁকে গণধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।
আরও পড়ুন – জোরালো ভূমিকম্পে হটাত কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি
তিনদিন ধরে লাগাতার পৈশাচিক ঘটনা চলার পর অবশেষে প্রাণ হাতে নিয়ে কোনক্রমে গোপন ডেরা থেকে পালান ওই তরুণী। স্থানীয় পুলিশকে, সমস্ত ঘটনার কথা জানান। কিন্তু তাঁর এই অভিযোগ গ্রহণ করতে নারাজ পুলিশ। স্থানীয় এক হিন্দু নেতা জানিয়েছেন, নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে থানায় বসে থাকতে হয়। পুলিশ তা সত্বেও অভিযোগ দায়ের করেনি । অবশেষে, একটি ভিডিও করে নিজের অবস্থার কথা ও সুবিচারের দাবী জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করতে চেয়ে পাকিস্তানে অত্যাচারের ঘটনা আগেও বহু ঘটেছে, এবং ঘটে চলেছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে, নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে খুন করা হয় ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে । গত বছরেই তিন হিন্দু মহিলাকে অপহরণ এবং পরে মুসলিম ব্যক্তিদের সঙ্গে জোর করে বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। লাগাতার অভিযোগ পেয়েও চরম উদাসীনতার প্রমান দিয়েছে পাক প্রশাসন।