১৬তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারবে সংখ্যালঘু কিশোরীরা, নজিরবিহীন রায় হাইকোর্টের
Connect with us

দেশের খবর

১৬তেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে পারবে সংখ্যালঘু কিশোরীরা, নজিরবিহীন রায় হাইকোর্টের

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাল্য বিবাহ নয়। নাবালিকা বিবাহ রোধে যেখানে সরকারি তরফে আইন রয়েছে। সেখানে সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কার্যত নজিরবিহীন এক রায় ঘোষণা করল পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার হাইকোর্ট।

সরকারি হিসেবে মেয়েদের বিয়ের জন্য ২১ বছর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার আগে কোনও মেয়ে স্বইচ্ছায় বা পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে করলে তা নাবালিকা বিয়ে বলেই গণ্য করা হবে। আইনি গেরোয় পড়তে পারেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমনকি পাত্রপক্ষও।

সেইসব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ১৬ বছর বয়সী যে কোনও মেয়ে স্বইচ্ছায় বিয়ে করতে পারে। বা বিবাহ বন্ধন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে বলে জানাল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। এই দুই কোর্টের বিচারপতিরা নাবালিকা বিয়েকে সমর্থন জানিয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাবুলের গুরুদ্বারে বিস্ফোরণ, হামলার দায় স্বীকার করল ISIS

জানা গিয়েছে, সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি মামলার বিচারে বিচারপতি জসজিৎ সিং বেদির একক বিচারকের বেঞ্চ পাঠানকোটের এক মুসলিম দম্পতির একটি আবেদনের ভিত্তিতে এই আদেশ দেয়। যারা সুরক্ষার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন।

বেঞ্চ বলেছে, “শুধুমাত্র আবেদনকারীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করেছে, তাই তাদের ভারতের সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।” ইসলামী শরিয়া শাসনের উল্লেখ করে বিচারপতি বেদি বলেন, ”মুসলিম মেয়ের বিয়ে মুসলিম ব্যক্তিগত আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়”। অর্থাৎ পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের একক ডিভিশন বেঞ্চ ১৬ বছর বয়সী যে কোনও মুসলিম মেয়ের স্বইচ্ছার বিয়েতে সম্মতি প্রকাশ করছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে নদীর জল, অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪২ লাখ

স্যার দিনশাহ ফারদুনজি মুল্লার ‘প্রিন্সিপলস অফ মোহামেডান ল’ বইয়ের ১৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে, আবেদনকারী নং ২ (মেয়ে) ১৬ বছরের বেশি বয়সী একজন মেয়ে তার পছন্দের মানুষের সঙ্গে বিবাহের চুক্তি করতে পারবে। আবেদনকারী নং 1 (ছেলে) বয়স ২১ বছরের বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই ভাবে, উভয় আবেদনকারীই মুসলিম ব্যক্তিগত আইন দ্বারা পরিকল্পিত বিবাহযোগ্য। আদালত বলেছিল যে এটি “আবেদনকারীদের আশঙ্কার সমাধান করা দরকার তা থেকে চোখ বন্ধ করতে পারে না।”

এই বিষয়ে আদালতে আবেদনকারীদের বক্তব্য হল, তাদের বিয়ে ২০২২ সালের ৮ জুন হয়েছিল। যাবতীয় মুসলিম আচার ও অনুষ্ঠান অনুসারে সম্পন্ন হয়েছিল এই বিয়ে। যাইহোক, তাদের উভয়ের পরিবার এই বিয়ের বিরোধিতা করেছে এবং তাদের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করার জন্য তাদের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ভালো কাজেও লেগে যাচ্ছে রাজনীতির রঙ’! অগ্নিপথ নিয়ে আক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর

আবেদনকারী দম্পতি দাবি করেছিলেন মুসলিম আইনে, বয়ঃসন্ধি এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা এক এবং অভিন্ন এবং একটি অনুমান রয়েছে যে একজন ব্যক্তি ১৫ বছর বয়সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এখন দেখার জল কতদূর গড়ায়।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.