দেশের খবর
অগ্নিপথ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য কৈলাসকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অগ্নিবীরদের বিজেপি অফিসের দারোয়ান বানানোর মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীকে ত্রিপুরা থেকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেছেন, ‘কৈলাস বিজয়বর্গীর ছেলে ব্যাট দিয়ে পেটাবে, আর অগ্নিবীররা বিজেপি অফিসে দারোয়ান হবে।’ সেই সঙ্গে কৈলাসের বহিষ্কারও দাবি করেছেন তিনি। অভিষেক বলেছেন, ‘সেনা দরদি হলে এই নেতাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিত। সেনা নিয়ে যাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করেন, তাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো উচিত।’ সেই সঙ্গে অগ্নিপথ নিয়ে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁদের শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক। নোট বন্দি, কৃষি আইনের মতোই অগ্নিপথ প্রকল্পকেও অপরিকল্পিত ভাবেই ঘোষণা করা হয়েছে বলে সোমবার আগরতলায় দাবি করেছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, গত রবিবার মধ্যপ্রদেশে এক অনুষ্ঠানে কৈলাস বলেন, ‘সেনার প্রশিক্ষণ পেয়ে অগ্নিবীররা কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়ে উঠবেন৷ তাঁরা সব আদেশ পালন করতে শিখবেন৷ চার বছর দেশ সেবা করার পর যদি তাঁকে বাহিনী ছাড়তে হয় তখন তিনি এককালীন ১১ লক্ষ টাকা পাবেন৷ এছাড়া অগ্নিবীরের তকমা নিয়ে সমাজে ঘুরে বেড়াবেন৷ যদি বিজেপি অফিসে নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমরা অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেব৷’ কৈলাসের এই মন্তব্য নিয়েই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই অবস্থায় সোমবার ত্রিপুরায় ৪ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য প্রচারে গিয়ে আগরতলা থেকেই এই কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য কৈলাস বিজয়বর্গীকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। সেইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এটা মোদি সরকারের ট্র্যাডিশন৷ অপরিকল্পিতভাবে নোট বন্দি ঘোষণা করা হয়েছিল। যাঁরা এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন তাঁদের কথা ভাবা হয়নি৷ সিএএ, কৃষি আইনও তাই। অগ্নিপথ প্রকল্পকেও অপরিকল্পিত ভাবেই ঘোষণা করা হয়েছে। দু দিন অন্তর বিধিতে বদল৷ সেনা, আধা সেনার ছবির আড়ালে গিয়ে নির্বাচনে লড়েন৷ আর পরে বলে অগ্নিবীররা চার বছর পর বিজেপি-র পার্টি অফিসে দাড়োয়ানের কাজ করবে৷ এর থেকে নিন্দার, লজ্জার কী হতে পারে? বিজেপি নেতার ছেলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হবে। কৈলাস বিজয়বর্গীর ছেলে ব্যাট দিয়ে পেটাবে, আর সাধারণ খেটে খাওয়া অগ্নিবীররা বিজেপি অফিসে দারোয়ান হবে। এদের আসল উদ্দেশ্য এটাই৷ কৈলাস মুখ ফস্কে বলে ফেলেছেন৷ সেনা দরদি হলে এই নেতাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করা উচিত। সেনা নিয়ে যাঁরা কুরুচিকর মন্তব্য করেন, তাঁদের দেশ থেকে তাড়ানো উচিত। নৈরাজ্যের পরিবেশ যেন তৈরি না হয়৷ প্রতিবাদ, প্রতিরোধের রাস্তা বেছে নেওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে৷ বিক্ষোভ দেখালে তা যেন শান্তিপূর্ণ হয়। চিন্তা করবেন না কৃষক আইনের মতোও অগ্নিপথ প্রকল্পপ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে বিজেপির সরকার।’