দুয়ারে কোভিড ভ্যাকসিন, টিকাকরণে গতি আনতে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি চালু হচ্ছে এই জেলায়
Connect with us

বাংলার খবর

দুয়ারে কোভিড ভ্যাকসিন, টিকাকরণে গতি আনতে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি চালু হচ্ছে এই জেলায়

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ:কোভিড সংক্রমণ মোকাবিলায় টিকাকরণে গতি আনতে এবার হুগলি জেলায় ২৯ টি ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিন ভ্যান কাজ করবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকার দুটি ডোজই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদেরও টিকাকরণ প্রায় শেষ।

এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশে শুরু হয়েছে ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের কাজ। হুগলিতেও শুরু হয়েছে টিকাকরণের কাজ। জানা গিয়েছে, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে কেউ বাদ পড়ছে কিনা বা টিকা নিতে অনীহা থাকলে তা দূর করতে কাজ করবে এই ভ্রাম্যমাণ ভ্যান। এর আগে হুগলীতে ১০ টি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান চালু ছিল। মঙ্গলবার আরও ১৯ টি নতুন এই ভ্যানের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বীরভূমের রামপুরহাটে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে: পার্থ চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

সূত্রের খবর, ‘কেয়ার ইন্ডিয়া’ নামক এক সংস্থার সহযোগিতায় চলবে এই টিকাকরণ সচেতনতামূলক কাজ। মূলত টিকাকরণের প্রচার ও যারা এখনও পর্যন্ত একটিও টিকা গ্রহণ করেননি তাঁদের কোভিড টিকা নিতে সাহায্য করবে এই ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেবে আবার কাউকে টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসতেও সাহায্য করবে।

শুধু তাই নয়, এদিন চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে জেলার ১৮টি ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ, তিনটি মহকুমা হাপাতালের সুপার,একটি স্টেট জেনারেল হাপাতালের সুপার ও জেলা হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্টকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় করোনা কালে ভালো কাজের জন্য। হাসপাতালে চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীদের করোনা যোদ্ধা হিসেবেও সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। রবীন্দ্র ভবনে এক অনুষ্ঠানে ফ্ল্যাগ অফ করে ভ্রাম্যমাণ গাড়ির উদ্বোধন করেন হুগলি জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক জানান,হুগলি জেলায় করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ৯৮ শতাংশ মানুষ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: উপপ্রধান খুনে উত্তপ্ত রামপুরহাটের বগটুই, আগুনে পুড়ে মৃত অন্তত ১০ জন

Advertisement

দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯০ শতাংশ। এখনও প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি। বুস্টার বা প্রিকশন ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রবীণ মানুষরা পিছিয়ে আছেন। মূলত তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ করবে এই ভ্রাম্যমাণ গাড়ি। এছাড়াও যারা অসুস্থ ভ্যাকসিন সেন্টারে আসতে পারছেন না তাদের বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন সেন্টারে নিয়ে আসা আবার বাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে আসার কাজ করবে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি।