Uncategorized
মরা হাতি লাখ টাকা, কিন্তু হাতির বিষ্ঠার মূল্য কোটি টাকা! কেউ কি জানেন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: প্রতিটি মানুষই আজকের দিনে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবে তা নিয়ে ভাবিত। আবার এই প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিতে একটু আলাদা কিছু, একটু অন্য রকমভাবে রোজগারের পথের সন্ধানও করে চলেছেন অনেকে। এখন মানুষের জীবন অনেক পাল্টে গিয়েছে।
মানুষের আশা-আকাঙ্কা, চাহিদা, ইচ্ছা অনেক পাল্টে গিয়েছে। আজকাল মানুষ অল্পতে সন্তুষ্ট হতে পারে না। আর তাই তারা নতুন কোনও রোজগারের পথ খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই চেষ্টা অনেক সময় অনেকের ভাগ্য বদলেও দেয়। এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে। মানুষ যদি মন থেকে কিছু করার কথা ভাবে, আর সে যদি দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়, তাহলে কোনও কাজই করা অসম্ভব হয় না। নতুন কিছু করার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। আর সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার জন্য অদম্য নিষ্ঠা- এই দু’টিকেই আত্মস্থ করে যারা হয়েছেন সফল, তাদের মধ্যে একজন হলেন বীজেন্দ্র শেখায়াত এবং মহিমা মেহের। এই দুই ব্যবসায়ীর সফলতার চাবিকাঠি হল হাতির বিষ্ঠা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। হাতির গোবরের ব্যবসা করেই তাঁরা কোটি টাকা উপার্জন করছেন। তা্দের এই নতুন পথ আবিষ্কার আর সেই পথে অগ্রসর হয়ে সফল হওয়ার কাহিনীটা কী! বীজেন্দ্র এবং মহিমা আমেরের দুর্গে বেড়াতে যান।
এই নিছক বেড়াতে যাওয়াই তাঁদের ভাগ্যকে দেয় একদম পাল্টে। আমেরের দুর্গের কাছে পিঠে পড়ে থাকা হাতির বিষ্ঠা দেখে তাঁদের মাথায় পরিকল্পনা আসে, এই বস্তু দিয়ে তাঁরা ব্যবসা শুরু করবেন। আর যেমন ভাবা, তেমন কাজ। শুরু করে দেন এই বিষয়ে এগোতে গেলে কী ভাবে কী করতে হবে। ইন্টারনেটের দৌলতে তাঁরা গোটা বিষয়টা সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনে নেন। এরপর মাত্র ১৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে কাঁচামাল ক্রয় করে শুরু করে দেন তাঁদের ছোট ব্যবসা। কিন্তু সবার প্রথমে যে প্রশ্নটা উঠে আসে তা হল, কী কী হয় এই বিষ্ঠা দিয়ে? ক্যারিব্যাগ থেকে শুরু করে ষ্টেশনারী জিনিসপত্র তৈরি হয়ে থাকে এই হাতির বিষ্ঠা দিয়ে! আর সবথেকে বেশি যে জিনিসটি প্রস্তুত হয়, তা হল কাগজ।
কারণ হাতির বিষ্ঠায় থাকা আঁশ খুব কাজে লাগে কাগজ তৈরির ক্ষেত্রে। প্রথমে দেশের মধ্যে এই ব্যবসা থাকলেও এখন বিদেশের মাটিতেও পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের ব্যবসা। বীজেন্দ্র শেখায়াত যে শুধু নিজে ব্যবসা করে উন্নতি করেছেন তা নয়, তিনি অনেক পরিবারের মুখেও হাসি ফুটিয়েছেন এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে। তাঁদের মূল কয়েকটি কাজ, যেগুলি তাঁরা করে থাকেন, সেগুলো হলো- গাছ এবং পরিবেশকে সংরক্ষণ, হাতিদের খাদ্য দান, শহর পরিছন্ন রাখা, গ্রামের মহিলাদের কর্মসংস্থান, জল সংরক্ষন এবং হাতির বিষ্ঠা পরিষ্কারের পর যে জল পরে থাকে তা ভালো সারের কাজ করে। যা চাষের জমিগুলিকে করে উর্বর। এককথায় তাঁদের এই অভিনব ব্যবসা তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আরও অনেকের জীবনে আনছে সুখ ও শান্তি।