বালিগঞ্জে জয় নিয়ে নিশ্চিত বাবুল, গান গেয়ে ফুরফুরে মেজাজে তৃণমূল প্রার্থী
Connect with us

বাংলার খবর

বালিগঞ্জে জয় নিয়ে নিশ্চিত বাবুল, গান গেয়ে ফুরফুরে মেজাজে তৃণমূল প্রার্থী

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গত বছর কালিপুজোর দিন প্রয়াত হন বালিগঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার সেই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি ছেড়ে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী করেছে কেয়া ঘোষকে। এবং সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সায়রা শাহ হালিম।

বালিগঞ্জ বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। গত বিধানসভা এবং কলকাতা পুরসভার ভোটের নিরিখে বিরোধীদের পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। জয় নিয়ে নিশ্চিত তৃণমূল। তাদের একটাই ভাবনা জয়ের মার্জিন নিয়ে। তাই ভোট গ্রহণের শুরু থেকেই ফুরফুরে মেজাজে পাওয়া গেল তাঁকে। সকাল থেকেই এলাকায় এলাকায় ঘুরে বুথ পরিদর্শনের কাজ শুরু করে দেন বাবুল। সংবাদমাধ্যমের সামনে ‘আমারও সারা দিন কীভাবে কেটে যায়’ গান গেয়ে শোনানোর পাশাপাশি জানিয়ে দিলেন, তাঁর জন্যই ইস্টওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজ অনেক আগে শেষ হয়েছে। পাশাপাশি সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা জানিয়ে সকলকে সকাল-সকাল ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। আসানসোলে সকাল থেকেই দফায় দফায় অশান্তির খবর পাওয়া গেলেও তুলনায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বিঘ্নে ভোট চলছে বালিগঞ্জে। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৬.২০ শতাংশ। তবে বালিগঞ্জে ভোট চলাকালীনবেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন – দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে রাজ্যের ৪ ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

Advertisement

যেমন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ২৮৯ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী বাবুল সুপ্রিয়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ওই বুথেই তৃণমূলের ভোটারদের মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে ঢুকতে দিচ্ছে না, তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়।

এই নিয়ে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর। সেই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে সুদর্শনা মুখোপাধ্যায় এবং গরিয়াহাট থানার ওসির বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। এর পাশাপাশি পাঠভবন এবং মডার্ন হাফ স্কুলের ভিতরে কলকাতা পুলিশের কর্মী থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। অবশেষে ওই দুই পুলিশকর্মীকে বুথের বাইরে বার করে দেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন – ঝোপের ভিতর পড়েছিল তিনটি ব্যাগ, খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের

সেই ঘটনারও রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। ক্যালকাটা গার্লস স্কুলে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। মর্ডান স্কুলের ২২৫ থেকে ২২৮ নম্বর বুথে ভোটার কার্ড ছাড়াই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোট দিতে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের আলআমিন কলেজে পাশের ওয়ার্ড থেকে বহিরাগতরা এসে ভোট দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩৭ থেকে ২৪১ নম্বর বুথেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে। ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশোক হলে ১৭২, ১৭৪, ১৭৫ এবং ১৭৬ নম্বর বুথেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে শাসক ও বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। অশোক হল স্কুলের এক বুথেই বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন – মেয়ের সঙ্গে কুকীর্তির অভিযোগ, কাঠগড়ায় বাবা

Advertisement

খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। শুরু হয় বচসা। সেক্টর অফিসারকে ফোন করে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার কারণ হিসাবে প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ওই পার্টের বাসিন্দা নন। এ ছাড়াও বেশকিছু বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়া খবর পাওয়া গিয়েছে। ২২৭ নম্বর বুথ, করেয়ার ১৩৪ নম্বর বুথ, আইস স্কেটিঙে ২১৮ নম্বর বুথ, ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের সত্যভামা ইনস্টিটিউটের ২০৩ নম্বর বুথ এবং সৈইফি হল স্কুলে ইভিএম খারাপ হয়ে যাওয়ায় একঘন্টার বেশি সময় পরেও ভোটগ্রহণ শুরু করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, ২০৬ নম্বর বুথে ভিভিপ্যাট ঠিকমতো কাজ করছে না বলে এদিন অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। বালিগঞ্জের কংগ্রেসপ্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীর ওপর বেনিয়াপুকুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে হামলা ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন – পর্যটকদের সুবিধার জন্য বড় সিদ্ধান্ত রেলের

Advertisement