বাংলার খবর
শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের নাগাল্যান্ড সফর বাতিল
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রবিবার অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৬ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুতে উত্তেজনা বাড়ছে সারা দেশে। এই নিয়ে সোমবার শীতকালীন অধিবেশনে সংসদের দুই কক্ষই উত্তাল হয়ে ওঠে। গোটা ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে নাগাল্যান্ড। গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।
একের পর এক অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে আসতে থাকে। কি হলো গুলিতে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে আজ সকালেই নাগাল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে সেই প্রতিনিধি দলে থাকার কথা ছিল প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরুপা পোদ্দার, সান্তনু সেনদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাতিল হয় সেই সূচি। কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দের পক্ষ থেকে তাদের যেতে বারণ করা হয়।
ফলে বিমানবন্দর থেকেই ফিরে আসেন তাঁরা। রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলেছেন, ‘সেনার গুলিতে নিহতদের নিরীহ পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আমরা আজ নাগাল্যান্ড যাচ্ছিলাম। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমাদের সেখানে যেতে নিষেধ করেন। সেই কারণেই আমরা আপাতত নাগাল্যান্ডে যাচ্ছি না। জানা গিয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত রয়েছে। আমরা সেখানে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে বিরোধীরা অভিযোগ আনতে পারে। আমরা চাই না তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কোথাও কোনও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হোক।
অসমের জোরহাট বিমানবন্দরে নেমে আমাদের প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গাড়িতে যেতে হতো। কিন্তু সমস্ত এলাকা ও রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে নাগাল্যান্ডে পৌঁছনো আমাদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব হতো না। আমরা জানতে পেরেছি, বিমানবন্দরে নামলেই আমাদের আটকে দেওয়া হতো। সেই কারণেই আমাদের যেতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিষেধ করেছে।’ নাগাল্যান্ডের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতেই দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে তিনি সংসদে পৌঁছেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরেই রয়েছেন।
আগেই এই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে অসম রাইফেলসের তরফ থেকে। দুঃখপ্রকাশ করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মৃতদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন। গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে অসমের জোড়হাট বিমান বন্দরেও। এই মৃত্যুর ঘটনায় আজ সংসদের দুই কক্ষে একযোগে কেন্দ্রকে চেপে ধরার জন্য সমস্ত বিরোধীদলকে নিয়ে আলোচনার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের ডাকা কোনও বৈঠকে থাকবে না তৃণমূল, তা আগেই জানিয়েছিল। নাগাল্যান্ড যাওয়ার কথা থাকলেও, তাও বাতিল করতে হল তৃণমূলকে।