বাংলার খবর
তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, সমালোচকদের জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গ বিদ্রুপ কম হয় না। কিন্তু তা নিয়ে কখনোই কোন মন্তব্য করতে দেখা যায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু কোনও কিছুই যে তাঁর নজর এড়ায় না, তা বৃহস্পতিবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে সব সমালোচনা, ব্যঙ্গ, বিদ্রুপের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সমস্ত সমালোচকদের মুখ্যমন্ত্রীর জবাব, ‘ছোটদের জন্য কবিতা লিখতে হলে নিজেকেও ছোটদের মতো ভাবতে ও হতে হয়।’
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভাল চিন্তা মানুষকে বিকশিত করে। আমি যখন ছোট ছিলাম, ছোট ছোট কবিতা পড়তাম। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে`, ‘কাঠবেড়ালি কাঠবেড়ালি,` এ সব নিয়ে কেউ কখনও প্রশ্ন করেনি। এখন দেখি, এরা কোন গ্রুপ জানি না। হয়তো সমাজের বড় অংশ হবেন, তাঁদের সম্মান করি। তবে ভাবতে বলব। আপনি যখন বাচ্চার জন্য কিছু তৈরি করবেন, তখন আপনাকেও প্রথমে বাচ্চা সাজতে হবে। মনটা হতে হবে বাচ্চার মতো। তবেই বাচ্চাকে তার মতো করে শিক্ষা দিতে পারবেন।”
ছোটদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কবিতার বই ঘিরে নানা সময়ে সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ‘কবিতা বিতান’ কাব্যগ্রন্থের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির বিশেষ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। যা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিশিষ্ট জনেদের একাংশ। সেই প্রেক্ষাপটে ছোটদের কবিতার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই মন্তব্য করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ জবাব, ‘কেউ কেউ পুরোটা না দেখে চিৎকার শুরু করে দেয়। একেবারে হরে করে কমবার মতো। আমি বলেল আবার বলবে, দেখেছেন! হরে করে কমবার আবার কোনও মানে হয় নাকি! নিশ্চয়ই হয়। পুরনো কবিতার বইগুলি দেখে নিন। আগেকার দিনের বইগুলোতে চোখ রাখুন, অনেক কিছু দেখতে পাবেন। নদী নিয়েও পড়বে, শিক্ষা নিয়েও পড়বে, প্রকৃতি নিয়েও পড়বে।’ এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন যে, ‘সবসময় নেতিবাচক কথা নিয়ে কীভাবে বিতর্ক তৈরি করা যায়, সে দিকে দৃষ্টি দিই। নেতিবাচক কথা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়।’ তাই তিনি সকলকে ইতিবাচক চিন্তা করার পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী আকাদেমি পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁকে বিদ্রূপ করতে ‘আজব ছড়া’ নামাঙ্কিত বই থেকে ‘হরে করে কমবা’ লাইনটি নিয়ে তুমুল ব্যঙ্গ শুরু হয়। সেই সময় দলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য অন্নদাশঙ্কর রায়ের `পিং পিং, কালিম্পং` ছড়াটি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। যুক্তি হিসেবে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বলেই এত বিদ্রূপ করা হচ্ছে। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এ প্রসঙ্গে মুখ খুলে সমালোচনার জবাব দিলেন।