বাংলার খবর
ভবানীপুরে জোড়া খুন, মিলল নিখোঁজ মোবাইলের হদিশ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই সোমবার সন্ধ্যায় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় গুজরাটি দম্পতির। ৭৩এ হরিশ মুখার্জি রোড এর ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যে ছটা নাগাদ উদ্ধার হয় অশোক সাহু ও রশ্মিতা সাহু নামে দু’জনের দেহ।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে উধাও দুটি মোবাইলের মধ্যে একটির খোঁজ মিলেছে। নিহত অশোক শাহের মোবাইলটি উদ্ধার করেছেন পুলিশ। তবে তাঁর স্ত্রী রশ্মিতা শাহের ফোনটির এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডালহৌসি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ফোনটি। খুনের পর ফোন নিয়ে চম্পট দেয় খুনিরা। তারপর সেটি রাস্তায় ফেলে দেয়। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় এই ফোন থেকে কোনও সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ফোনটি পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরে জোড়া খুনে দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়ে নিহত দম্পতির কন্যাকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী অফিসাররা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতে ও পুলিসকে বিভ্রান্ত করতেই আততায়ীরা খুনের পর মোবাইলগুলি নিয়ে প্রথমে চম্পট দেয়। তারপর সেটি অন্যত্র ফেলে দেয়। প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনা সামনে আসার পর প্রথমেই দেখা যায় যে আলমারি থেকে ৩০ হাজার টাকা, গয়না, মোবাইল সব উধাও। তবে দুটি মিসিং মোবাইলের একটি চালু অবস্থায় ছিল। আরেকটির সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না।
প্রসঙ্গত, জোড়া এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা ও গোয়েন্দা দফতর। খবর পেয়েই সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ভবানীপুর থানার পুলিশ, স্থানীয় কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: ভবানীপুরের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার গুজরাতি দম্পতির রক্তাক্ত দেহ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ কুকুরও নিয়ে আসা হয়। খুন করার পর আততায়ীরা পায়ে হেঁটেই পালিয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী, পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও এসটিএফ। আততায়ীদের হদিশ পেতে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।