বাংলার খবর
হাসিমারায় গণবিবাহের অনুষ্ঠানে ধামসার তালে পা-মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এক দণ্ডও বিশ্রাম মেলে না। রাত জেগে সারতে হয় বহু কাজ। জনগণের উন্নয়নের লক্ষে সব সময় ছুটতে হয় রাজ্যের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে।
এতসব প্রশাসনিক কাজকর্মের পরও মাটির সঙ্গে সম্পর্ক এখনও অটুট রয়েছে মা-মাটি সরকারের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই-তো এদিন প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেল খোশমেজাজে। আলিপুরদুয়ার সফরে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকেই আজ তিনি সোজা হাজির হয়েছেন হাসিমারা গণবিবাহের অনুষ্ঠানে।
এদিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের এই বিবাহ অনুষ্ঠানে বাজছিল গান। ধামসা মাদলের সঙ্গে পা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর পরনে ছিল আদিবাসী স্টাইলে শাড়ি পড়া। হাসিমুখেই ধামসা-মাদলের ছন্দে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান শত ব্যস্ততার মধ্যে এইভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত স্থানীয়রা।
এদিনের এই গণবিবাহে উপস্থিত অনেকের সঙ্গেই ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। খোঁজ নেন স্থানীয় মানুষদের। এলাকার উন্নতি সাধনে সঠিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন রাজ্যে প্রশাসনিক প্রধান।
আরও পড়ুন: সভা শেষে ফেরার পথে হঠাৎই হাসিমারার কোদাল বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন সমস্যার কথা
এই প্রথম নয়, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধারণের মধ্যে মিশে তাঁদের কুশল সংবাদ নিতে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি অতীতে পাহাড় সফরে বেরিয়ে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মোমো স্টলে মোমো তৈরি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, তিন দিনের উত্তরবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া মানবিক মুখ দেখে উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যবাসী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মী সভায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে মুসকান পারভিন নামে এক ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গেই বক্তব্য সেখানেই শেষ করে ওই পড়ুয়ার শুশ্রূষা শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
আরও পড়ুন: ৭ সাগরেদ সহ গ্রেফতার কসবার ত্রাস সোনা পাপ্পু
সভা শেষ করে মালঙ্গি গেস্ট হাউসে ফেরার পথে হাসিমারার কোদাল বস্তিতে হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে জনসংযোগ শুরু করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বস্তির বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি, তাঁদের অভাব, অভিযোগও শুনলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার শিশুদের কাছে ডেকে নিয়ে আদর করার পাশাপাশি তাদের হাতে চকলেট তুলে দেন তিনি। খোঁজ নেন তাদের পড়াশোনার ব্যাপারেও। তারা ঠিকমতো স্কুলে যাচ্ছে কিনা, স্কুলের পোশাক ও খাবার-দাবার পাচ্ছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন।