বাংলার খবর
Hooghly Crime: শ্লীলতাহানি কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বৃদ্ধের টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৩

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পুলিশ পরিচয় দিয়ে বৃদ্ধকে ব্ল্যাকমেল। শ্লীলতাহানি কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা তোলাবাজি। গ্রেফতার এক মহিলা সহ তিনজন।
চন্দননগর কলুপুকুর পঞ্চাননতলার সত্তরোর্ধ্ব রমেশ চট্টোপাধ্যায় একটি আবাসনে একাই থাকেন। ছেলে চাকরি সূত্রে পরিবার নিয়ে লন্ডনে থাকেন। পাড়ারই এক প্রৌঢ় রুনু দাশগুপ্তর সঙ্গে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বৃদ্ধের।
রমেশ বাবুর তুলনায় তার বন্ধু রুনু শক্ত সমর্থ হওয়ায় মাঝে মধ্যে বাজারে ব্যাগ পৌঁছে দিতেন ফ্ল্যাটে। চায়ের দোকানে আড্ডাতেও সঙ্গী ছিলেন তারা।এর পর যাতায়াত শুরু হয়। রুনু দাশগুপ্তের পালিতা কন্যা মধুমিতা পালের। তিনি নাড়ুয়া মেন রোডে থাকেন। পরিচয়ের সূত্রে কয়েকবার রমেশ বাবুর ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলেন মধুমিতা। অভিযোগ, খাটে বসে ছবিও তোলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: Nadia News: পড়ুয়াদের প্রযুক্তি বিদ্যার পাঠ দিতে প্রাথমিকেই কম্পিউটার চালু
কিছুদিন আগে চুঁচুড়া আদালতের মহুরী তারক নাথ কুন্ডু চন্দননগর থানার পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে রমেশ বাবুকে ফোন করেন। বলেন, থানায় বৃদ্ধের বিরুদ্ধে বন্ধুর মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয়েছে। এই ঘটনা পুলিশ পদক্ষেপ নেবে, যদি না চান তাহলে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। যদি না দেন পুলিশ তাকে ধরবে এবং লন্ডনে ছেলেকে এই ঘটনার কথা জানানো হবে। ভয় পেয়ে যান বৃদ্ধ। মোট এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা কয়েক ধাপে দিয়ে দেন তিনি। টাকা নেয় বন্ধু রুনু ,তারক ও রুনুর পাতানো মেয়ে।তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: আমি কারও পয়সায় খাই না! বইয়ের রয়্যালটি পাই, বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ মমতার
গত ২২ জুলাই বৃদ্ধ তার পরিচিত এক পুলিশকে জানান তিনি ফাঁদে পড়েছেন। সেই পুলিশ অফিসার চন্দননগর থানার আই সি শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন। আই সি বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলেন। তার পরই পুলিশ ফাঁদ পাতে তাদের ধরার জন্য।
কথামত ফটক গোড়ায় আবারও টাকা দিতে যান রমেশ বাবু। সেখানে আগে থেকে সাদা পোশাকে দুজন পুলিশ কর্মী অপেক্ষা করছিলেন। টাকা নিতে এসে ধরা পরে অভিযুক্ত মুহুরি। থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করতেই সব সত্যি বেরিয়ে আসে। তিনজনের নাম সামনে আসে।
আরও পড়ুন: সুখবর, বাজারে মরশুমের সবচেয়ে সস্তা ইলিশ!
তিনজনকে জিজ্ঞাসা বাদের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।তিনদিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পর আজ তাদের চন্দননগর আদালতে পেশ করা হয়। গ্রেফতারের আগে জানতে পারেননি বন্ধু রুনু দাশগুপ্ত এই ঘটনার পিছনে রয়েছে।বন্ধুর বেশে এই ধরনের প্রতারনায় হতবাক বৃদ্ধ।