বাংলার খবর
জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা ঘিরে জনউন্মাদনা ইসকনে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আষাঢ় মাসে রথযাত্রা। তার আগে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা ঘিরে শিলিগুড়ির ইসকন মন্দিরে উন্মাদনা তুঙ্গে।
গত দু’বছর করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকার পর এবছর ভক্তরা রথের রশিতে টান দিতে পারবেন বলে জানান শিলিগুড়ি ইসকনের মুখপাত্র নামকৃষ্ণ দাস। এদিন সকালে গর্ভগৃহ থেকে স্নানমণ্ডপে আনা হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহকে। সেখানে ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করানো হয় তিন বিগ্রহকে। এরপর ১৫ দিনের বিশ্রামপর্ব শেষে রথযাত্রার দিন ফের দর্শন মিলবে জগন্নাথদেবের।
কথিত আছে, এই তিথিতেই মর্ত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন জগন্নাথদেব। শাস্ত্র অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে স্বয়ম্ভু মনুর যজ্ঞের প্রভাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন জগন্নাথদেব। এই তিথিকেই জগন্নাথদেবের জন্মদিন বলে ধরা হয়। জগন্নাথদেব নিজেই মহারাজা ইন্দ্রদ্যু্ম্নকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর অঙ্গরাগবিহীন রূপ যেন কেউ না দেখেন। সেই কারণেই স্নানযাত্রার পর থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত গর্ভগৃহের দরজা ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: স্নানযাত্রা শেষেই জ্বরে আক্রান্ত হবেন জগন্নাথ দেব, সাজ-সাজ রব কোলাঘাট রাধামাধব মন্দিরে
অন্যদিকে, মহাসমারোহ, ধূমধাম ও অগণিত ভক্তের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ থানার শ্রীপাট কুমোরপাড়া রাধামাধবের স্নানযাত্রা সম্পন্ন হয়। চার শতাধিক বছরের প্রাচীন রাধামাধবের স্নানযাত্রা প্রত্যক্ষ করতে মন্দির প্রাঙ্গন ও প্রাঙ্গন সংলগ্ন এলাকায় হিন্দু-মুসলিম সহ সব ধর্মের হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। রাধামাধবের স্নানযাত্রা প্রত্যক্ষের পাশাপাশি রাধামাধবকে নিজের হাতে দুধ-গঙ্গা দিয়ে স্নান করানোর জন্য জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে আগত ভক্তদের মধ্যে একপ্রকার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়।
অগণিত ভক্তের সমাগমে শ্রীপাট কুমোরপাড়া যথার্থই মহামিলনের সঙ্গমস্থল ও আনন্দভুমিতে পরিণত হয়ে উঠেছিল। স্নানযাত্রা উপলক্ষ্যে কুমোরপাড়ায় গ্রাম্য মেলা বসেছে। আগামী দশ দিন ধরে এই গ্রাম্যমেলা চলবে বলে মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলে জন্ম নাতনির, তাই মঙ্গল গ্ৰহে জমি কিনে উপহার দিলেন ঠাকুমা
১৬০৯ সালে মুর্শিদাবাদ থানার মতিঝিলের পশ্চিমপাড়ে শ্রীপাট কুমোরপাড়ায় রাধামাধব মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। কালের নিয়মে মুর্শিদাবাদের নবাবী শাসনের অবসান হলেও শ্রীপাট কুমোর পাড়ার রাধামাধব মন্দিরের খ্যাতি, প্রচার এবং জৌলুসের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। কুমোরপাড়ার রাধামাধব মন্দিরটি রাধামাধবের মন্দির নামে পরিচিত হলেও আসলে এই মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধা যুগলে রয়েছেন।