বাংলার খবর
পিডব্লিউডি-র বড্ড বেশি খাঁই, সব কাজ না করানোর নির্দেশ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পূর্ত দফতরের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মঙ্গলবারই মেদিনীপুর পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার, মেদিনীপুরের প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভাতেই সরকারের ঘোষিত একাধিক কাজ না হওয়ার কারণ জানতে চান তিনি। তখনই বর্ণপরিচয় গেট, বীরসিংহ গেট এবং একটি কমিউনিটি হল এখনও কেন তৈরি হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই তিনটি কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্ত দফতরকে। সেই কাজে পূর্ত দফতরের দেওয়া বাজেট নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি বলেন, ‘পিডব্লিউডি-র বড্ড বেশি খাঁই, ওদের দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই। ওরা একটু বেশি টাকা ধরে। ওদের কাজ দেবে না। পিডব্লিউডি-র এত বেশি খাঁই কেন? কোনও কিছু করতে চায় না। করতে চাইলেও এমন বাজেট ধরবে, যা বলার নয়। প্রথমে পাঁচ টাকা ধরবে। এক বছর পর রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান বর্ণপরিচয় ও বীরসিংহ গেট এবং কমিউনিটি হল তৈরি করার জন্য পূর্ত দফতর কত টাকা চেয়েছে। তার উত্তরে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কোমল জানান, ওই তিনটি প্রকল্পের জন্য ৩২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই শুনেই বিস্মিত হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের অধীনে থাকা পূর্ত দফতরকে দিয়ে আর কোনও কাজ না করানোর নির্দেশ দেন তিনি। এবং সমস্ত প্রকল্প ৬ কোটি টাকার মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাগল নাকি। দু’কোটি টাকা করে মোট ছয় কোটি টাকার মধ্যে এসব কাজ শেষ করতে হবে। বাপরে বাপ, কত খাঁই। কোন দরকার নেই পিডব্লিউডির।’ দুটি গেট এবং একটি কমিউনিটি হল তৈরি করার জন্য পিডব্লিউডি যে ডিটেল প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) পাঠিয়েছে, তা তাঁকে দেখানোর জন্যও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, প্রয়োজনে হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট ও এইচআরবিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কাজ শেষ করতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘পিডব্লিউডি-এর এত খাঁই কেন? আমি যেন কাজ করি না। কত কম টাকায় ভালো কাজ হয়। এখন তো কত হালকার ওপর কাজ হয়। কালীঘাট মোড়ে অতবড় গেট করে দিয়েছি ৫০ লক্ষ টাকায়। এত টাকা তো লাগেনি। কলকাতায় তো এত কিছুর নির্মাণ হয়, কই এত টাকা তো লাগে না। ওরা এমন খরচ দেখাচ্ছে যেন খোদাই করে কাজ হচ্ছে। আমাকে দেখিও তো ওরা কী ডিপিআর পাঠিয়েছে। দরকারে ওই ডিপিআর কেটে ফেলে দাও।’