বাংলার খবর
খড়্গপুরে সাইকেল কারখানা, দাসপুরে সোনার হাব তৈরি হবে: ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমাতে ক্ষমতায় আসার পরই পড়ুয়াদের জন্য ‘সবুজসাথী’ এবং কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবুজসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল প্রদান করে থাকে। কিন্তু সেই সমস্ত সাইকেল অন্য রাজ্য থেকে কিনে আনতে হয় সরকারকে। প্রতিবছর ১০ লক্ষ সাইকেল অন্য রাজ্যের বেসরকারি সংস্থা থেকে কিনতে হয় সরকারকে। সেই কারণেই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের বিদ্যাসাগর শিল্প তালুকে সাইকেল তৈরির কারখানা করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরে মঙ্গলবারই পশ্চিম মেদিনীপুরে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেখানকার স্থানীয় প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সাইকেল কারখানার জন্য বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে ৫ শিল্পপতির হাতে মোট ৩০ একর জমি তুলে দেওয়া হয়। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে ওই ৫ শিল্পপতির মধ্যে ৪ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন, অজয় ঘোষ, নারায়ণ আগারওয়াল, সুবীর ঘোষ এবং জয় বার্ডিয়া। এই সাইকেল কারখানায় মোট ২০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। রাজ্য সরকার এই সংস্থার থেকে প্রতি বছর ৯ লক্ষ সাইকেল কিনবে। তারপর যত সাইকেল তৈরি হবে, তা রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হবে। এই সাইকেল কারখানা তৈরি হলে প্রায় ৫ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে চাকরি পাবেন। কারখানা পুরোদমে চালু হলে বছরে ১১ লক্ষ সাইকেল উৎপাদিত হবে।
শিল্পপতিরা জানিয়েছেন, সাইকেল তৈরি করতে যে পার্টস লাগে সেই সব পার্টস তৈরির আলাদা আলাদা কারখানা আছে। খড়্গপুরে সাইকেল তৈরির কারখানা তৈরি হলে আরও অনুসারি শিল্পও গড়ে উঠবে। তাতে আরও বেশি কর্মসংস্থান হবে। এমনকি খড়্গপুরে তৈরি সাইকেল তাঁরা বিদেশেও রফতানি করতে চান বলে জানিয়েছেন শিল্পপতিরা। যা শুন খুশি হন মুখ্যমন্ত্রী। এই কারখানা করতে শিল্পপতিদের যেন কোনও রকম জুলুম বাজি ও সমস্যার সম্মুখিন হতে না হয়, তার জন্য জেলাশাসককে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে খড়্গপুরে একটি সাইকেল হাব তৈরি করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে দাসপুরে একটি সোনার হাব তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘দাসপুরে অনেক স্বর্ণ শিল্পী রয়েছেন। তাঁরা দিল্লি, মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করেন। ওখানে একটি সোনার হাব তৈরি হলে ওই শিল্পীরা সেখানেই কাজ করতে পারবেন।’ বিষয়টি মুখ্যসচিবকে ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। দাসপুরে দ্রুত একটি থানা তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিরোমনি মন্দির এবং গনগনিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে আরও ঢেলে সাজানোর নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।